পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ©ዓ¢ জিজ্ঞাসা করতে চাই । সেটা হচ্ছে এই যে আমার এখানে অনেক গবেষকদের আমি কিছু কিছু দিয়ে থাকি, তারা আমার গবেষণার উপকরণ সংগ্রহ করে । তুমি কি সেইভাবে কাজ করতে চাও?” কানাই বল্লে—“না, আমার সামান্ত যা কিছু আছে তাতে কিছুদিন আমার গ্রাসাচ্ছাদন চলে’ যেতে পারে । আমি আপনার নির্দেশ অনুসারে কোনও একটা গবেষণার কাজে লাগতে চাই । সেটাকে আমি আমার মনের মত সফল করতে চাই আমার নিজের দায়িত্বে ।” অধ্যাপক খুশী হয়ে বল্পেন—“ত হ’লেত খুব ভালই হয়।” । র্তার মন প্রসন্ন হয়ে উঠল এই সঙ্কল্পে যে ভবিষ্যতে যদি এই ছেলেটি র্তার গবেষণাগারের সম্পূর্ণ ভার নিতে পারে। সেই উদেখে একে গড়ে তুলবেন এই আশায় তার মন উজ্জ্বল হয়ে উঠল। কানাই লেগে গেল তার গবেষণার কাজে ৷ মধ্যে মধ্যে প্রায়ই তার মনে হ’ত স্বজাতার কথা, কিন্তু তার খবর জানবার কোন উপায় নেই । প্রভার সঙ্গেও তার অনেকদিন দেখা হয় নি। মঞ্জরীর খবর নিতে গিয়ে সে তার খবর কিছু জানতে পারে নি । সে যে কোথায় গিয়েছে তা কেউ বলতে পারে না । অধ্যাপক অবিনাশ বাবু যে সমস্ত গবেষণায় লিপ্ত ছিলেন সেই গবেষণার প্রসার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন হ’ল ক্রমশঃ ক্রমশঃ ল্যাবরেটরী বাড়ানো এবং নুতন যন্ত্র আনা। লক্ষ্মীর ঝুলিতে এতদিন যা জমা হয়েছিল সে থলির ছিদ্র ক্রমশঃই লাগল বাড়তে আর স্রোতের ধারায় বয়ে যেতে লাগল অর্থ । যা শেয়ার টেয়ার ছিল সে সমস্ত বিক্রী হয়ে গেল। পত্নীকে যে এককালীন টাকা দিয়েছিলেন সেও বড় কম নয় । তার ধাকতি মেটাতে আরও অনেক অর্থ সেদিকে ব্যয় করতে হয়েছিল । কলকাতার বাড়ীগুলির কতগুলি করলেন বিক্রী, কতগুলি