পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ●●あ পরিষ্কার না করত ও রক্তকে একটা বিশিষ্ট ধর্ম্মে পরিণত না করত তবে হৃদয়ের কাজ হ’ত অচল ; হৃদয়ের কাজ যদি রীতিমত না চলত তবে প্লীহা যকৃৎ বুকের (kidney) কাজ চলতে পারত না । তেমনি আমরা এ কথাও বলতে পারি যে এক বুকই যদি তার কাজ করতে অসমর্থ হ’ত তবে অন্য কারুরই কাজ চলতে পারত না । এরা পরম্পর একটি উদ্দেশু সফল করবার জন্য চলেছে, সে উদ্দেগুটি হচ্ছে জীবনকে তার সামঞ্জস্তে, তার গতিতে, তার বিশিষ্ট প্রক্রিয়া ও ধর্ম্মের মধ্যে পূর্ণ করে তোলা, তাকে অব্যাহত করে তোলা । এই একটি উদেখা সকলে সাধন করছে বলে’ এরা একযোগিত্বে আপনাদের প্রকাশ করে জীবন-ধর্ম্মের মধ্যে । সেই জন্ত জীবনের মধ্যে এরা প্রত্যেকেই জীবিত। যখন এরা বিচ্যুত হয় এদের এই পরস্পরযোগিত্ব থেকে এবং জীবন সম্বন্ধে একযোগিত্ব থেকে, তখনই এরা বিচু্যত হয় এদের জীবিত স্বভাব থেকে এবং ব্যাহত ও অসম্ভব করে জীবনকে । তখন এদের বলা যায় মৃত । তেমনি আমাদের মনের মধ্যেও রয়েছে নানা রকমের চাওয়া এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে আছে একটা সামঞ্জস্য । এই সামঞ্জস্যটা নির্ভর করছে কোনও একটা উদ্দেশু সম্বন্ধে তাদের একযোগিন্ধে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আবিষ্কার করতে পারি যে আমাদের এই প্রবৃত্তিগুলির একযোগিত্ব কোথায়, বা তারা সকলে মিলে কি উদ্বেগু সফল করতে চায় তার যখন কোনও আভাস বা ছায়ামাত্র আমরা পাই না, তখন আমাদের প্রত্যেকটা কাজই মনে হয় নিরর্থক ; মনে হয় কোনও প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়ে যে কাজটা সম্পাদন করল সেটা হয়ে গেল সেইখানে শেষ । তার সঙ্গে অন্তকে করতে পারি না আমরা যোগ, ঘনিষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ করে দেখতে পারি না আমাদের চেতনার জীবনকে , তাই আমাদের প্রত্যেকটা কাজ আমাদের মনে হয় অসংবদ্ধ