পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ఫి రి অধ্যাপক আদর্শ সমস্ত যেন ডুবে গেছে একটা গাঢ় নিদ্র-তমসার গভীর আবর্তের মধ্যে । চিস্তা চাইছে মা সাড়া দিতে, মন হয়ে গেছে স্তব্ধ । স্বজাতা ও কানাই বসে আছে দু’খানা চেয়ারের উপর । মাঝে খানিকটা অন্তরাল। উভয়ে নিমগ্ন রয়েছে আপন চিন্তার মধ্যে । সে চিন্তা একমুখী হ’লেও উভয়ের জীবনের ইতিহাস রচনা করেছে উভয়ের চিন্তাধারায় একটা স্বাভাবিক অন্তরাল। তবু সে চিন্তার ছিল না কোনও ধারা। সে চিন্তা এনেছিল একটা ঘূর্ণির স্তব্ধতা। ঘূর্ণি আপনার মধ্যেই ঘোরে, কিন্তু সে এগোয় না । উভয়েরই মন যেন পড়ে গেছে একটা ঘূর্ণিতে, হারিয়ে ফেলেছে যেন পায়ের তলার মাটি । এমন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে দু’জনে যে তারা যে পরস্পর কাছাকাছি আছে সে কথাও যেন তারা জানে না। উভয়েই একক, অসঙ্গ, উভয়েরই গতি নিরুদ্দিষ্ট কোন অনিদিষ্ট অভিযানে । কৃষ্ণপক্ষের চাদ ভেদ হয়ে উঠল আকাশে, যেন ছিন্ন করে দিলে অন্ধকারের অতলস্পশী মোহ । সুজাতা ও কানাই কারুরই এই প্রবৃত্তি ছিল না যে মঞ্জরীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করে । থেকে থেকে স্থজাতার মনে হ’তে লাগল যে কানাই মঞ্জরীর কথায় তার চেয়ে কম অভিভূত হয় নি । মঞ্জরী যদি হ’ত কেবলমাত্র স্বজাতার একজন বন্ধু, সে যদি হ’ত তার কাছে অপরিচিত বা ঈষৎ পরিচিতমাত্র, তা হ’লে মঞ্জরীর কথায় কানাই এতটা অভিভূত হ’ত না। তবে প্রভা যে বলেছিল যে কানাই কাউকে ভালবাসে, সে ভালবাসার পাত্রী কি মঞ্জরী ? কিন্তু তা কেমন করে’ হবে ? মঞ্জরী ত ঝুকে পড়েছিল সুকুমারের দিকে এবং এ কথাও সে প্রভার কাছে শুনেছে যে মঞ্জরী ও মুকুমারের বিবাহ হবে এ রকম একটা গুজব বেরিয়েছিল । তবে মঞ্জরীর সঙ্গে কানাইয়ের সংঘটন হ’তে পারে কোথায় ? তবে কি