পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8、○ অধিকারিণী, তথাপি সমস্ত ধন ভোগের মায়া ত্যাগ করে” সে নেমে এসেছে কর্ম্মের পথে, সাধনার পথে । মনে হ’ল অধ্যাপকের প্রতি তার কি বিচিত্র অনুরাগ, কি তার সেবা, কি তার ষত্ব ! মনে হ’ল কত স্বচ্ছন্দে, কত সহজে সে অধ্যাপকের নিকট আত্মনিবেদন করে’ দিয়েছে । তার ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে, তার পূজা ও শ্রদ্ধার আকর্ষণে সে স্বীকার করেছিল যে তার সর্বস্ব দিয়ে বাচিয়ে রাখবে এ বিষ্ঠামন্দিরটিকে । কি মহৎ তার চরিত্র, কি মহৎ তার আদর্শ ! সঙ্গে সঙ্গে । আবার এলে মনে মঞ্জরীব কথা । বিতৃষ্ণ ও ক্ষোভে তার সমস্ত হৃদয় গেল ভরে’ ! আবার তার মনে হ’ল, কেন মঞ্জরী করতে গেল এমন কাজ ! কেন বন্ধুর বিরুদ্ধে আনতে গেল অভিযোগ ! সুজাতার জীবনের কোন পূর্ব্ব ইতিহাস সে জানত না, এবং পরের সম্বন্ধে কিছু জানবার জন্য বিন্দুমাত্র আগ্রহ তার ছিল না । মঞ্জরীকে লক্ষ্য করে একটা ধিক্কার উঠতে লাগল তার মনে । মুহূর্তে যেন তার সমস্ত নাড়ীর টান গেল শিথিল হয়ে । সঙ্গে সঙ্গে আবার সজীব হয়ে এল, জ্যোতিষ্মতী হয়ে উঠল মুজাতার ছবিটি । নরনারীগত যৌবনের আকর্ষণ তাকে টানতে পারল না সুজাতার দিকে, তার চরিত্র যেন মহনীয় হয়ে উঠল দেবীমগুপের সিংহাসনে । সে আত্মবিশ্বত হয়ে নিজেকে মনে করল যেন সে দাড়িয়ে আছে ভক্ত পূজারীর ন্যায় কোন দেবীমূর্ত্তির সম্মুখে । ত্যাগে, সেবায়, কমনীয়তায়, বিদ্যান্থরাগিতায়, পুণ্যপ্রোদ্ভাসিত হয়ে উঠল স্বজাতার মুখখানি তার হৃদয়ের মধ্যে। সে তার দিকে একবার তাকিয়ে দেখলে জ্যোৎস্নার আলোকে ঝলমল করে’ উঠেছে যেন সে মূর্ত্তি পুণ্যের জ্যোতিতে, শ্রদ্ধায় হৃদয় যেন তার নত ! স্বজাত কানাইকে জিজ্ঞাসা করলে—“আপনি রাত্রে কিছু খাবেন "? וה