পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\$ჯ, অধ্যাপক দুৰ্দ্ধৰ্ষ সংগ্রামে নিজের রক্তস্রোত ঢেলে প্রাণকে একান্ত বিপন্ন করে’ বিজয়ী হয়ে রাজা হয়, নারী তার বিলাস-সজ্জীর আভরণ নিয়ে অনায়াসে এসে তার সিংহাসনে বসবে রাণী হয়ে । ধন, মান, যশ, প্রতিষ্ঠা, সমস্তই নারী অর্জন করে পুরুষকে দিয়ে । বিনিময়ে তার রূপ ও যৌবন দিয়ে করতে হয় তার মনোহরণ, দিতে হয় তাকে শ্রান্তির মধ্যে বিশ্রাম, বাধতে হয় তাকে আপন বাহুডোরে । ভালবাসা দিয়ে পুরুষকে বধিবার অধিকার নারীর, এটা নারীপ্রকৃতির স্বাভাবিক বৃত্তি । তাই এটা তার পক্ষে অত্যন্ত সহজ, যেমন সহজ মাধবীলতার পক্ষে তার পাশ্বস্থ সহকার-তরুকে আশ্রয় করা ।” স্বজাত বল্লে—“তোমার এ যুক্তি আমার মনে সায় দেয় না। যখনই মনে হয় যে নারীকে দেখছি কেবলই তার প্রজাস্বষ্টির দিক দিয়ে, তখনই মনে হয় নারীকে বড় ছোট করে দেখা হ’ল । মকু বলেছেন, ‘পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্য্যা তেমনি কি আমরা বলতে পারি —‘মুখার্থঃ ক্রিয়তে ভর্ত্তা ? যার মনে পুরুষকে আয়ত্ত করবার লোভ শুধু যে স্বাভাবিক এবং সহজ তা নয়, পরন্তু তার চেয়ে বড় যে আর কিছু দেখতে পায় না, তার সম্বন্ধে আমার কিছু বলবার নেই। কিন্তু সকল মেয়েরই মনে এই ভাবটি যে একান্ত প্রবল এ কথা বলা যায় না। অস্ততঃ জামি ত এমন মনে করি না।” সুজাতার এই কথায় মঞ্জরী হেসে বল্লে—“নারীর পক্ষে এইটিই যে সহজ এবং স্বাভাবিক, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বাস্তব জগতের দিকে তাকালে । শত শত পরিবারের দিকে চেয়ে দেখ, কেমন করে’ মেয়েরা শুধু স্বামীদের যে ঘিরে আছে তা নয়, শুধু যে তাদের ধরে আশ্রয় করে’ আছে তা নয়, তাদের তারা এমন করে’ গলা পর্য্যন্ত এটে ফাস দিয়েছে যে নারী যতটুকু তাকে শ্বাসপ্রশ্বাস ফেলতে দেয় তার