পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৩৭ বেশী শ্বাসপ্রশ্বাস ফেলারও পুরুষের সাধ্য থাকে না । পুরুষকে নারী এমন করে’ মোহের জালে জড়িয়ে তার মুক্ত পাথার শলাকাগুলি তার আকর্ষণের আঠাতে জুড়ে দেয় যে, তার সমস্ত চিত্ত নারীর দিকে ছুটতে চাইলেও সে আপন আবেগের চারিদিকে ঘুরপাক খেতে থাকে । নারীকে সে বঁাধবে, সে বশ করবে, এ সাধ থাকলেও তার এ সাধ্য থাকে না । নারীর হৃদয়কে পাওয়া তার কাছে আকাশ-কুহুম হয়ে ওঠে । তারই মোহে সে ছোটে যতদূর তার শক্তি, কিন্তু নাগাল পায় না । একজন অখ্যাত কবির একটা কবিতা মনে পড়ছে :– স্বর্য্যেরে করিয়া কেন্দ্র, গ্রহ ফথা ছুটিয়াছে অনন্তের নিত্য আবর্ত্তনে, তেমনি তোমার মাল্যচ্ছায়া হৃদয়ের অস্তরালে থাকি? সকলের প্রেম-চেতনারে জাগাইয়া সর্ব্ব অঙ্গে, ছুটিয়াছে নিরস্তর নানা ভঙ্গে আপনার দিকে, চেতনার পুণ্যদোলামাঝে, অফুরন্ত অভিসারে, ভাবময় দোলাময় নানা বিবর্তনে ; নিত্যকাল দুলিবে অনন্ত মাঝে তব মাল্যথানি, অনাদি পুরুষ তার স্পশলোভে, নিয়ত ছুটিবে, আকাঙ্ক্ষায় উদ্বেগে ও ক্ষোভে, পারিবে না কভু তারে বক্ষে নিতে টানি । পুরুষকে এমনি করে খেলিয়ে মেয়েদের গর্ব্ব চরিতার্থ হয় । । তাদের কিছু না থাকলেও, যাদের সমস্তই আছে, যাদের বলবীর্য্যে, বুদ্ধিতে ও কৌশলে প্রকৃতি তার সমস্ত সম্পদ ঢেলে দেয়, তাদের