পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8.මීද যেন সর্ব্বদা একটা ঐকাস্তিক আগ্রহ রয়েছে। সর্ব্বত্র সে স্বচ্ছন্দগতি, সকলের সঙ্গে সে মেশে অনায়াসে । তার নিজের উৎসাহের স্রোত সে অনুপ্রেরিত করে দিয়েছে বিদ্যামন্দিরের তুচ্ছতম অংশ পর্য্যন্ত । হৃদয় থেকে যেমন রক্তস্রোত সর্ব্বদা অমুল্লাবিত করতে থাকে দেহের সমস্ত অংশ, তেমনি সুজাতার প্রাণস্রোত, তার হৃদয়ের ভালবাসা সমস্ত বিদ্যামন্দিরকে অনুপ্লাবিত করে সঞ্জীবিত করে তুলেছিল। কানাইয়ের সঙ্গে সর্ব্বদাই তার দেখা হত, অনেক আলাপ আলোচনা হ’ত, কিন্তু সে সমস্তই বিদ্যামন্দিরকে অবলম্বন করে । উভয়ের মেশামিশিতে এখন আর কোনও বাধা নেই, কোনও আড়ষ্টতা নেই, কোনও স্ত্রীপুরুষগত সঙ্কোচ নেই। একজাতীয় দু'টি বন্ধুর মত দু’জনে পরস্পর মিশত। এই মেশার মূলকেন্দ্র ছিল অধ্যাপক এবং বিদ্যামন্দির । কানাই যে কেবল নিজের গবেষণা নিয়েই থাকত তা নয়, অন্য সকলের রাসায়নিক গবেষণা সে সর্ব্বদাই পরিদর্শন করত এবং তাদের সাহায্য কবত ও উপদেশ দিত । কানাই যে চিরকালই এই গবেষণা নিয়ে থাকবে এ বিষয়ে সে কারুর কাছে কোন প্রতিজ্ঞা করে নি, বা সুজাতাও তাকে সে বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করে নি। কিন্তু সে এমন প্রসন্নভাবে কাজ করে চলেছিল যে সে যে কথনও এ বিষ্ঠামন্দির ছেড়ে যেতে পারে এ কথা কারও মনে কখনও উদয় হয় নি । নানা কাজে মানুষ নানা সময়ে লাগে নানারকম প্রয়োজন বা প্রবৃত্তির তাড়নায় এবং কাজ করতে করতে অনুভব করে সেই কাজের সরণির মধ্য দিয়ে তার সমস্ত প্রবৃত্তির স্রোত, তার আকাঙ্ক্ষার গতি আপন উদ্বেপ্তের দিকে প্রবাহিত হতে পারছে কিনা। সমস্ত প্রাণীর মধ্যেই দেখা যায় যে তাদের সমস্ত কাজের গোড়ায় রয়েছে কতকগুলি মৌলিক প্রবৃত্তি ৷ ইতর প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় যে যথেষ্ট পরিমাণে