পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

않8는 অধ্যাপক অনেক সময় ভোররাত্রে উঠে স্বজাত এক এক ছাদের উপর পাদচারণ করত, ভেসে উঠত তার মনে অধ্যাপকের ছবি, র্তার বিদ্যামন্দিরের ছবি আর সেই সঙ্গে ভেসে উঠত কানাইয়ের উৎসাহদীপ্ত মুখমণ্ডল । সে গর্ব্ব অনুভব করত কানাইয়ের গবেষণায়, তার প্রত্যেকটি গবেষণার যে যথার্থ মূল্য তার চেয়ে অনেক অধিকতর মূল্যে প্রতিভাত হ’ত তা তার কাছে । সে অনেক সময় চিন্তা করে দেখেছিল যে এক একটি গবেষণায় যে সত্য আবিষ্কৃত হয়েছে তাকে কাজে ফলাও করে’ দশের ব্যবহারের যোগ্য করে তুলতে হ’লে অনেক বড় বড় যন্ত্রপাতি দরকার এবং এই যন্ত্রপাতি না আনালে কানাইয়ের গবেষণা শুধু ঘরের জিনিষ হয়ে থাকবে, শুধু পাওয়া যাবে তাতে বাহবা । তাতে দেশের যথার্থ উপকার কিছু হবে না, অথচ দেশের উপকার ফলাও করে করবে বলেই কানাই এসেছিল এই রসায়নের কাজে । তখন তার মনে পড়ল যে তার যে অগাধ ধনসম্পত্তি আছে, এতাবৎকাল তার অতি সামান্য অংশই লেগেছে তার নিজের কাজে । ঠিক তার কত টাকা আছে তা সে ভাল করে খতিয়ে দেখে নি । সেই সমস্ত টাকার কল্পনায় একটা আঁচ এনে সে সঙ্কল্প করলে যে এখান থেকে ফিরে গিয়েই সে এই সব যন্ত্রপাতি আনাবে। সে কল্পনা করতে লাগল যে সেই সমস্ত যন্ত্রের সাহায্যে যখন কানাইয়ের আবিষ্কার দেশব্যাপী উপকারে লাগবে তাতে কানাই কত আনন্দ পাবে। আনন্দে হর্ষে(জুল হয়ে সে হয় ত তাকাবে তার দিকে। এই স্নেহদৃষ্টির কল্পনা তার জীবনে যেন নূতন করে জালিয়ে তুললে একটি ধ্রুবনক্ষত্রের দ্বীপশিখা ৷ চিঠি এল একদিন কানাইয়ের । বিদ্যামন্দিরের নানা খবর ছিল তাতে । 'সেদিককার সব ভাল । অধ্যাপক সম্বন্ধে ছিল—“তোমার গুরুদেবকে বাগ মানানো ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে । তার খাওয়া