পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8QSo অধ্যাপক পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়, হয় ত সে কোনও রকমে যোগাড় করেছিল কানাইয়ের কোনও প্রেমপত্র এবং সেইটিই চালিয়ে দিয়েছিল স্বজাতার নামে । সে আবার জিজ্ঞাসা করলে—“কানাইবাৰু কি কোনদিন কোনও সময়ে মঞ্জরীকে ভালবাসতেন ?” স্বজাত য। কানাইয়ের কাছে শুনেছিল তাতে সে অনায়াসে বলতে পারত—হঁ্য, কিন্তু কানাই যদি কোনথানে পথ ड्रेन করে’ই থাকে তবে সে তা কেন সুকুমারকে বলতে যাবে ? সে দৃঢ়ভাবে বল্লে—“র্তার জীবনের কথা আমি কি করে জানব ? তিনি একজন জ্যোতিষ্মান পুরুষ। তুমি চেষ্টা কোরো না তার গায়ে কলঙ্ক লেপন করতে, সে আমি কিছুতেই সহ করব না ।” সুকুমার পড়ল মুষড়ে । সে তার চরিত্রের বল অনেকখানি হারিয়েছিল, কিন্তু সে একেবারে আত্মবিস্মৃত হ’তে পারল না । সে অনুভব করল যে এটা মঞ্জরীরই কোনও কারসাজি হবে । সে ভাবলে চিঠিখান যে একেবারেই জাল নয় তারই বা প্রমাণ কি ? ধীরে ধীরে তার মনে প্রাচীন ছবিগুলি ভেসে উঠতে লাগল এবং অকস্মাৎ নূতন আলোকপাতে সে আবিষ্কার করে ফেলল মঞ্জরীকে তার একট। নূতন মূর্ত্তিতে। কত চেষ্টাই না সে করেছে স্বজাতাকে তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ! কি অসামান্য কৌশলে সে তথাপি প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছে তাদের পরস্পরের বন্ধুতা, আর সে মূৰ্খ, হতজ্ঞান, মঞ্জরীর গ্রলোভনে মুগ্ধ হয়ে স্বজাতাকে করেছে পরিত্যাগ, তার বিপদে দাড়ায় নি একদিন তার কাছে, বলে নি একটা সহানুভূতির কথা । মঞ্জুরী তাকে যে রকম করে ঘুরিয়েছে সেইরকমই সে ঘুরেছে, তার চোখে ঠুলি দিয়ে যেখানে তাকে নিয়ে গেছে সেইখানেই সে ছুটে গেছে । আজ ত স্বজাতাকে কোনও দোষ দেওয়া যায় না । সে