পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8 Հ:» থেকে অঙ্কুর হতে ? বীজের ভিতরকার দু’টি খোলা থেকে অঙ্কুর পাচ্ছিল তার খাদ্য । তাদেরই কাধে করে সে অঙ্কুর ওঠে মাটি ফুড়ে’, তারপর কিছুদূর উঠলেই সে সন্ধান পায় স্থর্য্যালোকের, তার ডাটা থেকে বেরোয় পাতা । বীজ থেকে অঙ্কুর হওয়ার সময় সে যে দু’টি খোল থেকে পাচ্ছিল খাদ্য, যাদের কাধে করে সে উপরে উঠেছিল তার সহায় মনে করে, তারা হয়ে যায় একান্ত নিম্প্রয়োজন, ঝরে পড়ে তার কাধ থেকে । তেমনি মহাপুরুষ চলেন মহাপ্রেমের সন্ধানে, সংসারের বোঝাটা বাধা থাকে তার চাদরের সঙ্গে । তাতে হয় ত আনতে পারে পরিবারের অসন্তোষ ও অনর্থ । তার পরিবারের লোক তাকে পায় না এবং স্ত্রী যদি সমঝদার না হন তবে একটা দারুণ বিভ্রাটও ঘটে যেতে পারে ।” সুজাতা বল্লে—“ত হ’লে পূর্ব্বে থেকে যে সচেতন হয় তার পক্ষে কোন পারিবারিক বন্ধনে না যাওয়াই ভাল |’ অধ্যাপকের চক্ষু একটু উজ্জল হয়ে উঠল । তিনি হেসে বল্পেন— “বিশেষতঃ মেয়েদের পক্ষে ।” সুজাতা আবার প্রশ্ন করলে—“কিন্তু মেয়েদের পক্ষে এমন কি বিশিষ্টত দেখলেন ?” অধ্যাপক বল্পেন—“পুরুষের পক্ষে পরিবার বন্ধন যে রকম মেয়েদের পক্ষে পরিবার বন্ধন সে রকম নয় । একটা দার্শনিক উপমার কথা মনে হ’ল, পুরুষ ও প্রকৃতির বন্ধন । পুরুষও প্রকৃতির সঙ্গে বাধা, প্রকৃতিও পুরুষের সঙ্গে বাধা । এই নিয়ে চলেছে বিরাট বিশ্বজগতের বৃহৎ পরিবার, কিন্তু বাধন সত্ত্বেও পুরুষ পড়ে না বাধা, কারণ তাকে কিছুই করতে হয় না। প্রকৃতিই করেন স্বষ্টি, তিনিই করেন পুরুষের মনোরঞ্জন, জোগান তার ভোগ । মেয়ে যখন সংসার করে তখন