পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8ヶ○ আনছিল তার সঙ্গে সমস্ত তটচারী তপস্বীদের মৌনতপস্যার সঙ্কেত । আমরা জানি যৌবন কেমন করে প্রবেশ করে প্রৌঢ়দশায় এবং প্রৌঢ়দশা কেমন করে প্রবেশ করে বাৰ্দ্ধক্যে, কিন্তু আমরা জানি না যৌবন কেমন করে প্রবেশ করে বাল্যে । এ যেন সেই শুচিত যেখানে যৌবন তার অঙ্গে ঠাই না পেয়ে ফিরে যেতে চাইছে তার বাল্যের মাধুর্য্যে। প্রভ এসে জড়িয়ে ধরলে সুজাতাকে, হর্ষে উল্লাসে উচ্ছল । এক মুহূর্ত্ত স্বজাত তাকিয়ে দেখলে প্রভার মুখের দিকে। বুকের কোনখানে যেন হঠাৎ এক ঝলক রক্ত এসে চাপ বাধলে, নিমেষের জন্য সে হৃদয়ে অনুভব করলে একটা বেদনা, কিন্তু সে নিমেষের জন্য । তারপরেই সে কালোচ্ছ্বাসে জড়িয়ে ধরলে প্রভাকে তেমনিই অনাবিল আনন্দে । যেমন একটি শিশু ধরে আর একটিকে । সুজাতা জিজ্ঞাসা করলে প্রভাকে—“কেমন আছিস্ ?” প্রাণের সমস্ত উচ্ছ্বাস বেরিয়ে এল প্রভার মুখে । সে বল্লে—“খুব ভাল আছি ।” সুজাতা আবার জিজ্ঞাসা করলে—“মুকু-দা কেমন আছে রে ?” প্রভা বল্লে—“উনি আবার কেমন থাকবেন ! ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছেন ও লোক ত কখনো সাতরাতে পারত না, ভাগ্যিস ওঁর জুটে গেল একটা ভেলা ।” সুজাতা হেসে জিজ্ঞাসা করলে—“ভেলায় উঠিয়ে ভাল করে বেঁধে ফেলেছিস ত ?” 瓣 প্রভ আবার খিল খিল করে হেসে বল্লে—“পুরুষমানুষগুলো ত অতি সস্তা। ফিরিওয়ালারা যেমন বাড়ী বাড়ী ডেকে বেড়ায় 'চাই তপূসে মাছ, উঠিয়ে নিলেই হ’ল । ওরা ত ওদের পসরা নিয়ে সর্ব্বদাই মেয়েদের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।”