পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8brや অধ্যাপক দখলের মধ্যে আপনাকে দেয় ছেড়ে সে হারায় তার চেতন-স্বভাবতে। অধ্যাপক অবিনাশ বাবু একদিন তাকে বলেছিলেন যে আমাদের এই দেহটা হচ্ছে মন ও জড়বস্তুর মধ্যে একটা সেতু। দেহের মধ্যে আছে জীবনীশক্তি, তার কাজই হচ্ছে এই যে সে জড়বস্তুকে করবে আক্রমণ, করবে আত্মসাৎ, লাগবে আপন কাজে । একটা চার গাছ তার শিকড়কে পাঠিয়ে দেয় ভূগর্তে, সেখান থেকে সে সংগ্রহ করে রস, তার খাদ্য এবং তাকে পরিণত করে আপন ধাতুতে এবং প্রেরণ করে নানা প্রণালীতে শাখা প্রশাখার মধ্যে । তার পাতায় সে সংগ্রহ করে বাতাসের কার্বন, তাকে পরিণত করে তার দেহধাতুতে, শর্করায় । এমনি করে জড়কে করে সে আত্মসাৎ ৷ জড় রয়েছে যুক্ত হয়ে তার জীবনের সঙ্গে, জড়ের আপন ধর্ম্ম সেখানে থেকেও নেই, সে তাকে ব্যাপ্ত করেছে প্রাণের কাজে, পরিণত করেছে তাকে গাছের জীবনের মধ্যে, ঘটেছে সেখানে একটি অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধের মধ্যে স্থিতি ও গতির সামঞ্জস্ত । কিন্তু মন যখন কোন জড়কে ধরে, চেষ্টা করে তাকে আত্মসাৎ করতে, সে পারে মা তাকে বিলীন করে দিতে আপন চেতনালোকের গতির মধ্যে । জড়কে অশকড়ে ধরতে গিয়ে সে আপনি হয়ে পড়ে জড় । একটা আলু যখন আমরা খাই তখন সে আলু দেহের মধ্যে প্রবেশ করে’ হারিয়ে ফেলে তার নামগোত্র । দেহের জীবনীশক্তির পেতে হয় না কোন উদ্বেগ তার জন্য । সে তার পরম আত্মীয়, সে আছে কি নেই তার কোন খোজ রাখবার প্রয়োজন হয় না । কিন্তু এই একটা আলুকে যদি মুঠো করে ধরি তা হলে সেখানে তাকে রাখবার জুন্য পেশীগুলোকে শক্ত করে জড় করে’ রাখবার দরকার হয় । সেটা জীবনীশক্তির বিরুদ্ধ ক্রিয়া, ভাই বেশীক্ষণ তা করা যায় না, হাত আসে বিরঝির করে', পেশীগুলি করে বিদ্রোহ। কিন্তু একটা পাথর