পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ○ > > এই উভয় ধর্ম্মে শরণাগতি এবং দাস্য এই দুইভাবেই তারা ভক্তির ব্যাখ্যা করেছেন। শরণাগতিকে তারা বিভাগ করেছিলেন দু’টি স্তরে—একটি হচ্ছে নিশ্চেষ্টভাবে বিড়াল শিশুর স্থায় আশ্রিত হয়ে থাকা, আর একটি হচ্ছে সচেষ্টভাবে আশ্রিত হয়ে থাকা । দক্ষিণ দেশের প্রাচীন বৈষ্ণবের। কিন্তু নরনারীগত প্রেমের উপমাতেই ভগবৎপ্রেমের ব্যাখ্যা করে’ এসেছেন । কিন্তু আমাদের বাঙলাদেশে ভক্তি আবার ফিরে এল নরনারীগত প্রেমের উপমায় । তার একটি বিভাগে আমরা দেখতে পাই যে দেহবিযুক্তভাবে প্রেমের নানা লীলার মধ্যে আত্মাকে তরঙ্গিত করে তোলাই ছিল ভক্তির একটি অন্তরঙ্গ ধর্ম্ম । গৌড়ীয় বৈষ্ণবের রাধাকৃষ্ণের লীলারস বর্ণনা করে গেছেন। একটি প্রেমরসের মধ্যে রাধাকৃষ্ণ রয়েছেন বিলীন হয়ে । উভয়েই হারিয়েছেন তাদের নরত্ব বা নারীত্ব । এই দ্বৈতাদ্বৈত প্রেমরস বহুধা বিচিত্র পরিচয়ে আপনাকে প্রকাশ করে । ভক্ত ভুলে যাবে আপনার দেহ ও আপনার কামনা। দেহবিযুক্ত স্বভাবে সে আপনার চিত্তটিকে দোল খাইয়ে ফেরাবে রাধাকৃষ্ণগত প্রেমের বিচিত্র পরিচয়ের মধ্যে দ্বৈত থেকে অদ্বৈতে এবং অদ্বৈত থেকে দ্বৈতে, প্রেমের বিচিত্র আরোহাবরোহে । ভক্ত ভূলে যাবে তার আপন ব্যক্তিজীবনগত প্রেমের আস্বাদ, সে মগ্ন হয়ে যাবে রাধাকৃষ্ণের লীলাম্বাদে । তুমিও দেখছি মুজাতা, তোমার হৃদয়ের সহজ অহভূতিতে এটা অনুভব করতে পেরেছ যে সুর একজনের আস্বাদের মধ্য দিয়ে নিজে আস্বাদ করতে পারা যায় ; আমার আনন্দের বিচিত্র পর্য্যায়ের মধ্যে তুমিও পার বিচিত্র পর্যায়ের আনন্দ উপভোগ করতে। অত্যন্ত বিস্ময়কর তোমার এ অনুভব ।” g 驗 সুজাতা লজ্জায় হ’ল সঙ্কুচিত । কিন্তু কানাই বল্পে—“বৈষ্ণবকবিদের