পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

没>8 অধ্যাপক মন্দিরে প্রতিষ্ঠা কর রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ। মন্দিরের চারিপাশে পুতে দাও কদম্বের গাছ এবং অন্যান্ত সুগন্ধি পুষ্পের বল্লরী। স্থানটিকে উদ্যান করে’ না তুলে রেখে দিও খানিকট প্রাকৃতিক বন্য অবস্থায়, আর তার চারিদিকে তুলে দাও প্রাচীর ।” মুজাতা ও কানাই দু’জনে যেন একেবারে ই হয়ে গেল, পরস্পর করতে লাগল মুখ চাওয়াচাওয়ি । খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকুল তাদের গুরুদেবের দিকে । তারপর সুজাত লল্লে—“আপনার কাছ থেকে ত ঠিক এমনটি আশা করি নি । তা, সে রাধাকৃষ্ণের কি পূজা ও পুরোহিতের ব্যবস্থাও করতে হবে ?” অধ্যাপক বল্পেন—“মূর্ত্তিপ্রতিষ্ঠা করলে ত পূজার ব্যবস্থা করতে হবেই।” , স্বজাত খিল খিল করে হেসে উঠে জড়িয়ে ধরলে অধ্যাপকের ছ’খানা পা, দু’টি চক্ষু উন্নত করে চেয়ে রইল অধ্যাপকের চোখ দুটির দিকে। অধ্যাপকের চোখ দু’টি হ’ল জলভারাক্রান্ত । অধ্যাপক বন্নেন—“হৃদয়ে যা অনুভব করা যায় অতি গভীর ভাবে, আপন পরমাত্মীয় পরমসত্যভাবে, তাকে মানুষ প্রকাশ করতে পারে না বাইরের জগতে। তা প্রকাশ করবার বস্তু নয়, তা নিয়ে বাইরের জগতে করতে হয় না যাচাই"। তাই কোন ইঙ্গিতে বা ভাষায় ত৷ আমি কখনে চাই নি প্রকাশ করতে।” মুজাতা বল্লে—“আপনি কি এই জাতীয় ধর্ম্ম মানেন ?” অধ্যাপক বল্পেন—“আমি সব জাতীয় ধর্ম্মই মানি । কিন্তু কতগুলো ধর্ম্ম আছে যা মনুষ্যসাধারণ, তা প্রকাশ করা যায় যুক্তি দিয়ে এবং ইঙ্গিত করা যায় অমুভবের আলোকে । কিন্তু যা সর্ব্বসাধারণের নয়, যা একান্তই আমার নিজের, যার সত্যতা রয়েছে বিলীন হয়ে আমার