পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Q登 চিকিৎসক, নাই বা হলুম নাস, তবু সত্যিকার তোমার যদি কোন রোগ থাকে ত আমাকে তা না বলে তুমি কেমন করে থাকবে ? আমার ত যা মনে আসে সব কথা তোমাকে বলে’ ফেলি।” "তোমার মনের মধ্যে নেই-ই কিছু, তুমি কি বলবে ? তোমার মনটি হচ্ছে একটি শূন্য কলস আর তা পূর্ণ করে আছে আনন্দের কলোচ্ছ্বাস । তার মধ্যে রোগের বীজাণু প্রবেশ করতে এখনও ঢের দেরী ।” এমন সময় পাশের ঝোপটা যেন অকারণে একটু কেঁপে উঠল । দুটো বক উড়ে গেল। কেউ সে দিকে মন দিলে না । সুজাতা বল্লে—“আমার আবার রোগের বীজাণু কি ?” সুকুমার বল্লে—“কেন, কুমুমে কীট কি একেবারেই অসম্ভব ? কিন্তু তোমাকে দেখলেই মনে হয় যেন অনাস্ত্রাত পুষ্প, যেন অচ্ছিন্ন তরুণ পেলব পল্লবদল, যেন অনাস্বাদিতরস মধু, যেন বহুজন্মের অখণ্ড পুণ্যফল ।” মুজাতা বল্লে—“হয়েছে, হয়েছে, আর ‘শকুন্তলা’ আওড়াতে হবে না । আমি ত আর তপস্বিনী শকুন্তলা নই, আর তুমিও মহারাজচক্রবর্ত্তী দুষ্মন্ত নও, প্রবেশ কর নি তপোবনে মত্ত মাতঙ্গের মত তার পদ্মবন নির্ম্মথিত করে’ ” স্বকুমার বল্লে—“তপস্বিনী শকুন্তলা তুমি না হতে পার, কিন্তু তুমি যে নগরবাসিনী শকুন্তলা সে সম্বন্ধে আমার কোনও সন্দেহ নেই । সে পরম ভাগ্যবান, যে দুষ্মন্ত হয়ে তোমার তপোময় চিত্তের ধ্যান ভাঙবে ।” ঠিক এই সময় হঠাৎ যেন আকাশ থেকে নেমে এল মঞ্জরী। সে কোনখান থেকে এল তা কেউ লক্ষ্য করতে পারে নি । হঠাৎ দু’জনে