পাতা:অনল-প্রবাহ - সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনল-প্রবাহ অগণন কীর্ত্তি হায়, রাজ্য ব্যাপি রয়েছে পড়িয়া, বিচারে খ্রীষ্টীর দাসু আজি তথা দম্ভেতে মাতিয়া! অষ্টশত বর্ষ যথা, ছিল হায় ! রাজত্ব তোমার, তথা হতে আজি তুমি, নির্ব্বাসিত সাগরের পার!! প্রতি অণু,পরমাণু, এখনও করিছে ক্রন্দন, একটিও কিন্তু হায়! নাহি তথা মোত্নেম-নন্দন ! (७) বিশাল ভারতবর্ষ, প্রকৃতির রম্য উপবন, সুজলা সুফলা ভূমি, ঐশ্বর্য্যের মহা নিকেতন। সহস্র বরষ যথা, উড়েছিল তোমার কেতন অনুগ্রহ ভিক্ষা আশে, ইংরেজ ও ফরাসীসগণ ; যে দেশে আসিয়া আহা ! হেরি তোমা গৌরবে উন্নত, নমেছিল তব পদে করি শির আভূমি বিনত । স্বৰ্গাদপি গরীয়সী হায়! সেই সোনার ভারত, বণিক জাতির এবে হইয়াছে পূর্ণ কুক্ষিগত। তোমার সাধের ‘হেন্দে” আজি তুমি বাকশক্তি হীন, সাধের সে দিল্লী আগ্রা আজি হায়! বিঘোর মলিন ! ইস্লাম জননী মুখে, নাহি হাসি—ঝরে অশ্রুধার, হে মোফ্লোম! চেয়ে দেখ, কি ভীষণ দুৰ্দশা তোমার! (8) অইনাইলের তীরে, প্রকৃতির সুচারু নিকুঞ্জ, সভ্যতার পুস্পদাম, ফুটছিল যথা পুঞ্জ পুঞ্জ । সৌভাগ্যকিরণ জালে, চিরদিন চারু উদ্ভাসিত, খৃষ্ট-ত্রাস সালাদিন বিক্রমবীরত্বে গীেরবিত। হের সেই পুণ্যভূমি, মহা দীপ্ত উন্নত মিসর, বণিকের কুক্ষিগত কি ভীষণ চক্রান্তের পর! : বিপুল সমৃদ্ধি তার হইয়াছে লুষ্ঠিত নিঃশেষ, হায়রে! শ্যামলা ভূমি, রক্ত বর্ণে চিহ্নিত বিশেষ ! ধীরে ধীরে দসু্যদল, আধিপত্য করিয়া বিস্তার, বসাইছে বক্ষে এবে, শাণিত ছুরিকা তীক্ষ্ণ ধার! তথাপি হে মুসলমান! মেলিলেনা বারেক নয়ন, তোমাদের ভবিষ্যৎ, নাহি জানি কি ঘোর ভীষণ !