পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

er NS-I-Y TRT 1 ) এই ধর্ম্ম প্রচার করেন, তিনিও সনাতন মুলধর্ম্ম হইতে ংশাংশ গ্রহণ করিয়া সময় ও কালোচিতভাবে লোকসমাজে প্রচার করিয়া গিয়াছেন। আমরা সুনিক দিন হইতেই এই জৈনধর্ম্মসমাজ ও জৈনধর্ম্মদর্শনসম্বন্ধে বাঙ্গালায় আলোচনা করিব মনে করিয়াছিলাম এবং উহার তথ্য সাধারণে প্রকাশ করিয়া জৈনদর্শনের সত্য গ্রহণ করিব আশা করিয়াছিলাম । সেই উদ্দেশ্যেই জৈনধর্ম্মের আলোচনা করিতেছি । ১৯০১ খৃষ্টাব্দে ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক লোকগণনার হিসাবে দেখা যায়, সমগ্র ভারতে তখন চৌদ্দ লক্ষ জৈন ছিল। ১৯১৬ খৃষ্টাব্দের জৈনদিগের শ্বেতাম্বৱী কনফারেন্স হেরােন্ড অনুযায়ী জানা যায়, জৈনসংখ্যা কমিয়া বারো লক্ষে আসিয়াছে। ভারতে লোকসংখ্যা দিন দিন বাড়িতেছে, সেই হিসাবে জৈনসংখ্যা কমিতেছে। জৈনগণের মধ্যে ৭ ধর্ম্মমত ও সমাজ লইয়া যথেষ্ট মতভেদ হইতেছে । প্রথমতঃ দুইটি জৈনসম্প্রদায় রহিয়াছে— । ১ম । শ্বেতাম্বরী । ২য় । দিগম্বর । শ্বেতাম্বরসমাজ ও দুই ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। প্রথম ভাগ---মন্দিরমাগী ; দ্বিতীয় ভাগ-স্থানকাবাসী । আবার দিগম্বর জৈনসমাজ ও দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া বিশ্ব ও তারণাপন্থী এই দুই দলে বিভক্ত হইয়াছে। পুনরায় জৈনশ্বেতাম্বর তেরা পন্থী নামক ও অন্য একটি সমাজ গঠিত হইয়াছে। ফলে এখন দেখা যায়, এই জৈনগণও আপনাদের সমাজকে খণ্ড বিখণ্ড করিয়া ক্ষান্ত হয় নাই, ধর্ম্মমত ও খণ্ড খণ্ড করিয়া পৃথক ধর্ম্মসম্প্রদায়গঠন করিতেছে। সম্যক দর্শন। প্রথমবারের প্রবন্ধে সমাক দর্শনসম্বন্ধে ব্যাখ্যা যথাসম্ভব দিয়াছি, এবার তাহাই আরও বিস্তৃত করিয়া ব্যাখ্যা করিব।” দর্শন শব্দের অর্থ কি ? চক্ষুদ্বারা দেখা । চক্ষুদ্বারা কি দেখা ? না-যাহা সম্মুখে, তাহাই দর্শন করা । যে দেখায় চিত্তে কলুষভােব না। আসে, তাহাই দর্শন। দোষ শূন্যভাবে কিছু অবলোকন করাই দর্শন। পূর্বেই বলিয়াছি,-জীব, অজীব, আম্রব, বন্ধ, সংবর, নির্জরা ও মোক্ষ, এই সাত পদার্থে শ্রদ্ধা করাকেই সম্যক দর্শন বলে । কোন কোন গ্রন্থে নয়টি তত্ত্ব পাওয়া যায়। 6यभन औद >, अङ्कीद २, १cा ७, °ा°ा 8, आठषद ¢, সংবর ৬, নির্জর ৭, বন্ধ ৮, মোক্ষ ৯, এই নব তত্ত্ব । উপযুক্ত সংদেব, সৎশাস্ত্র, সদগুরুকে মান্য করা ও যাহা, বহু সংগ্রন্থ, সংদেব, সদ গুরুর উপাসনা করাও এক । আমরা এক্ষণে পূর্ব্বোক্ত নব পদার্থের সম্যক ব্যাখা করিয়া সম্যক দর্শনের যে জ্ঞান, তাঙ্গাই বিচার করিব। এখন দেখিব, সম্যক জ্ঞান কি ? 衣西习q丐而 S(t adha la-la. -ܫܒ ܫ ܝܣܚܒܫܒܚܝ-ܥܒܦܒܒܝܒܝܥܣܦܐܫ ܚܣܡܫܩܚ সম্যক জ্ঞান কি, তাহা বুঝাইবার পূর্ব্বে জ্ঞানের অর্থ কি, তাহা দেখিব। সত্যের উপলব্ধিই জ্ঞান। উহা বাতীত DBB BBDBDD DBBDuBS BBDBD uuguBt DBD BDD DD DS সত্যস্বরূপ বা সত্যের মূল যিনি, সেই ভগবানে চিত্রে স্মর্দিষ্ট জ্ঞান। আরও বিশদ করিয়া বলিতে গেলে যেন উহা সহজ DD BBDDu uBB DS S0B KBDD D DD DBBD DDS বানকে প্রত্যক্ষ দর্শন করা যায় এবং স্ত্রাঙ্গার মহিমা উপলব্ধি করা যায়, তাঙ্গাই জ্ঞান । চিত্তের ঐ অবস্থার নামই জ্ঞান। এখন দেখিব, জৈনদর্শনে সম্যক জ্ঞানের কি বাখ্য' । झूझेश्रांgछ । সমাক জ্ঞান। জীব, অজীব, আশ্রব, বন্ধ, সংবর, নির্জরা ও মোক্ষ, এই সাত প্রকার তত্ত্বসম্বন্ধে র্যাঙ্গার সমাক জ্ঞান অর্গাৎ পরিস্কাররূপে জ্ঞান হইয়াছে, সে কিরূপ ? না-সংশয়,বিপর্যায় ও অনধাবসায়, যিনি এই সকল দোষ রহিত হইয়াছেন, নুনাধিকান্তরহিত হইয়া যিনি বস্তুতঃ স্বরূপ-“স্ব-রূপ” অবগত হাইসু'- ছেন, তঁহারই সম্যক জ্ঞান হইয়াছে। সনাতন জৈনদের্শনে সংক্ষেপত: সম্যক জ্ঞানের ইহাই ব্যাখ্যা । স্ব-রূপ কি ? স্বআত্ম। আত্মচৈতন্যের অধিষ্ঠাতা। পূর্ণ চৈতন্য। সেই পূর্ণ চৈতন্যের বিদ্যমানতা অবগত হওয়াই স্বরূপ অবগত হওয়া । অবগত হওয়া কি ? দোষশূন্যভাবে সম্পূর্ণৰূপে জানা ; এখন বুঝিতে হইবে, পূর্ব্বোক্ত সাত পদার্থে সংশয় জন্মিলে বা সাত পদার্থসম্বন্ধে চিত্ত্বে বিপর্যায় উপস্থিত হইলে কিংবা উক্ত বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য অলসতা আসিলে বা নিশ্চেষ্ট হইলে উক্ত তত্ত্বসম্বন্ধে জ্ঞানলাভ অসম্ভব । ঐ তিন দোষে যিনি দোষী হন নাই, তাহারই সমাক জ্ঞান হইতে পারে। এখন সংশয় কি ? নিশ্চয় তার অভাববোধই সংশয় । বিপর্যায় কি ? বোধের অসামঞ্জস্যই বিপর্যায় এবং অন্যধ্যবসায় অর্থাৎ বোধ বিষয়ে চিত্তের অলসতাই অন্যধাবসায় । যাহা হউক, এখন আমরা প্রথম জীবসম্বন্ধে বাখ্যা করিয়া জীব কি বুঝিতে চেষ্টা করিব। জীব কি ? যে পদার্থের দর্শনচেতনা ও জ্ঞান।চেতনা এই দুই প্রকার চেতনা আছে, তাহাকেই জীব বলে । তাহা হইলে প্রথম বুঝিতে হইবে,-দর্শনচেতনা কি ? বস্তুর বিশেষত্বরতি স্ত BDDDBY BBBD SYtBLJD SDBD S S mSJS DBBDD বিশেষ প্রকার অর্গাৎ বস্তুতন্তু সর্ব্বসংশয় রহিত হষ্টিয়া অবগত হওয়া যায়, তাহাই জ্ঞানচেতনা । এই দর্শনচেতনা ও জ্ঞানচেতনার অপর নাম দর্শনোপযোগ ও জ্ঞানোপযোগ । জীবেও নানা বিভাগ রহিয়াছে, সেগুলি ক্রমে ক্রমে ব্যাখ্যা করিতেছি । এখন জীবসম্বন্ধে আরও একটু স্পষ্ট ব্যাখ্যা করিব। চৈতন্যশীল বস্তু বা পদার্গ স্ত্রীব। মাঙ্গাব্দ