পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ relig [ প্রথম ধর্ষ, পৌষ, ১৬২৬৷৷ u herapradara চক্ষুযোরনিমেষত্বং মধুর স্মিত ভাষণং। অমৃতস্য গুণ এতে কথিত ভূবি দুলাভা ।” ( গন্ধর্ব্বতন্ত্র । ) মছন্ত একরূপ চিত্ত দৰ্পণ । মদ্যব্যবহারে চিত্তের কপটতা দূর হইয়া যথার্থ ভাবের ক্ষুরণ হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় মানবগণ আপনি আপন প্রকৃতিকে বিবেচনাপূর্বক আচ্ছাদিত করিয়া রাখিতে পারে ; কিন্তু মদ্যব্যবহারে সে কপটতা থাকে না ; যাহার যেরূপ প্রকৃতি, সে তদনুরূপ কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত হয়। হিংসকগণ হিংসাবৃত্তি চরিতার্থ করিতে, ইন্দ্রিয়াসক্তগণ ইন্দ্রিয়বৃত্তি চরিতার্থ করতে বাস্ত হয় ; ঈশ্বর*ब्रांब्र। दाखिब्रां क्रेबंद्ध आद्धांक्षनाब्र निशुख श्न । डखश ভক্তিভাবে গদগদ হইতে থাকেন । এ অবস্থায় জিতেন্দ্রিয় সাধুচরিত্র সাধকের পক্ষে মদ্য উপাদেয় পদার্থ বলিয়া গণ্য হইবে, তৎপক্ষে সন্দেহ কি ? শুনা যায়, সাধক রামপ্রসাদ উপাসনকালে মদ্যপান করিতেন । এ জন্য কোন ব্যক্তি তঁহাকে মাতাল বলিয়া বিদ্রুপ করায় তিনি গাহিয়াছিলেন, “সুরাপান করিনে আমি, সুধা খাই রে কুতুহলে। আমার মন-মাতালে মেতেছে আজি, মদ-মাতালে মাতাল বলে ৷” মনুষ্যের স্বভাব এই যে, কেহই ছোট হইতে চাহে না । এ জন্য সদগুরুর প্রতিই অধিকার নির্ণয়ের ভার অর্পিত হইয়াছে। সদগুরুর অভাবে অনেক সময় ব্যবসায়ী গুরু কর্তৃক অনধিকারীকে উচ্চ অধিকার প্রদত্ত হয় । তাহার ফলে গুরু-শিষ্য উভয়েই এই শ্রেষ্ঠাচারকে অযথা কলঙ্কিত কুরিয়া दcआन्म ! কলিকালের মনুষ্যসকল কামবিভ্রান্ত চিত্ত। একালে প্রকৃত বীরাচারী সাধক প্রায় মিলে না । অপরিপক অবস্থায় অনেকেই এই আচার অবলম্বন করিয়া থাকেন। এই সকল দুর্বল সাধক চিত্তস্থির রাখিতে না পারিয়া পাছে ব্যভিচার করিয়া বসেন, এ জন্য শিব অধিকারীভেদে মদ্যাদির অনুকল্প ব্যবহারের ব্যবস্থাও করিয়া গিয়াছেন। মহানিৰ্বাণতন্ত্রের अछेम डेक्षांgल ठख श्वांछ,- “গহকাম্যৈক চিত্তানাং গহিণাং প্রবলে কলেী । আদ্যতত্ত্ব প্রতিনিধেী বিধেয়ং মধুরত্রয়ং । দুগ্ধংসিতা মাক্ষিকঞ্চ বিজ্ঞেয়ং মধুরত্রয়ং। বলিরূপমিদং মত্বা দেবতায়ৈ নিবেদয়েৎ ৷” প্রবল কলিকালে বিষয়াসক্ত ব্যক্তিদিগের পক্ষে মন্তের *ब्रिरé बक्षूब्द्धत्र बाबशब्र कब्राशे डॅष्ऊि । छ्, ििन ७ মধু একত্র করত তাহাকেই মন্ত বিবেচনা করিয়া দেবতাকে নিবেদন করিবে । উক্ত তন্ত্রের উক্ত উল্লাসে শেষতত্ত্ব (মৈথুন ) সম্বন্ধে শিব বলিয়াছেন “স্বভাবৎ কলিজন্মানঃ কামবিভ্রান্তচেতস: | তদ্রুপেণ ন জানাস্তি শক্তিং সামান্য বুদ্ধয়ঃ ॥ عدا" অতস্তেষাং প্রতিনিধেী শেষতত্ত্বন্ত পার্ব্বতি । ধ্যানং দেব্যাঃ পদান্তোজে স্বেচষ্টমন্ত্রজপস্তথা ৷” কলিতে দুর্বল অধিকারীরা শেষতত্ত্বের অনুকল্পে দেবতার পাদপদ্ম ধ্যান করিয়া ইষ্টমন্ত্র জপ করিবে । কেহ কেহ বলেন, তন্মশাস্ত্রে যে মদ্যাদির উল্লেখ আছে, তাহা বাহ্য প্রচলিত মন্ত্যাদি নাহে ; উহার অর্থ স্বতন্ত্র । তাহারা ইহার প্রমাণস্বরূপ “আগমস্যারোক্ত” নিম্নলিখিত শ্লোকগুলি দেখাইয়া থাকেন,--- মদ্য—“সোমধারা ক্ষীরোদ যাতু ব্রহ্মরন্ধাদ্বারাননে। পীত্বানন্দময়ন্তাং য: স এবং মদ্যসাধক ৷” ব্রহ্মরন্ধ, হইতে ক্ষরিত সোমধারা পান করিলে জীব আনন্দময় হইয়া থাকে। যে ব্যক্তি সেই অমৃত পান করেন, लिनि के ७क्रड भछनाक्षक । ংস—“মাশব্দাদ্রাসনা জ্ঞেয়া। তদংশান রসনপ্রিয়ে। যদা যে ভক্ষয়ে দেবি স এবং মাংসসাধকঃ ৷” মা শব্দেব অর্থ রসনা । বাক্যসকল বসনাসক্তৃত। যে ব্যক্তি বাকসংযম করিতে সমর্থ, তিনিই মাংসসাধক । কেহ কেহ এই শ্লোকের অন্য অর্থ করেন ; যথা— মা শব্দের অর্থ রসনা অর্থাৎ জিহবা । ঐ জিহবা তালুবিবরে প্রবেশ কয়াইলে উহাতে অমৃততুলা একরূপ রসের ংযোগ হয়। যিনি ঐ অমৃত্যরস সব্বদা পান করেন, তিনিই মাংসসাধক নামে অভিহিত হন । মৎস্য-“গঙ্গাযমুনয়োম্মধ্যে দ্বেী মৎস্তেী চর্যতঃ সদা । তেী মৎস্তেী ভক্ষয়েদ যস্তু স ভবেন্মৎস্যসাধকঃ ” হড়ানাড়ীকে গঙ্গা ও পিঙ্গলানাড়ীকে যমুনা বলে। এই দুই নাড়ীর দ্বারা শ্বাসপ্রশ্বাস প্রবাহিত হয়। এই শ্বাস, প্রশ্বাসের নাম মৎস্য । যে ব্যক্তি প্রাণায়ামযোগে শ্বাসপ্রশ্বাসকে নিরোধ করিতে পারেন, তিনিই মৎস্যসাধক ৷ মুদ্রা—“সহস্রারে মহাপদ্মে কণিকা মুদ্রিতাচরেৎ । আত্মা তত্রৈাব দেবেশি কেবল পারদোপমঃ ॥ সূর্য্যকোটিপ্রতিকাশং চন্দ্রকোটি সুশীতলম। অতীব কমনীয়ঞ্চ মহাকুণ্ডলিনীযুতম। ষান্ত জ্ঞানোদয়স্তাত্র মুদ্রাসাধক উচ্যতে ॥” সহস্রদলপদ্মের কণিকামধ্যে পারদসদৃশ আত্মার অবস্থিতি । ঐ আত্মা কোটি সুর্য্যের প্রভাযুক্ত এবং কোটি চন্দ্রের ন্যায়। সুশীতল । ঐ আত্মা অতিশয় মনোহর এবং সতত কুণ্ডলিনীশক্তিসমন্বিত । তঁহাকে যিনি জানিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত মুদ্রাসাধক । মৈথুন-মৈথুনং পরমং তত্ত্বং সৃষ্টিস্থিতান্তকারণং। মৈথুনাং জায়তে সিদ্ধিব্রহ্মজ্ঞানং সুদুর্লভং ৷” মৈথুন অতি পরমতত্ত্ব । ইহার মর্ম্ম অবগত হইলে আর সংসারে গতায়াত করিতে হয় না । মৈথুন হইতে সুদুলভ ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয় । গুরুবাক্যানুসারে সাধনদ্বারা মূলাধারন্থ কুণ্ডলিনীশক্তিকে