。切や অনুক্রম অল্প পমকে গলির ভিতরে প্রবেশ করিতে দেখিয়া অঙ্গ হিম হইয়া গেল । ফণী তাহার দিকে এক-দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছে, হাজার চেষ্টা করিয়াও তাহার মুখ হইতে চোখ ফিরাইতে পারিতেছে না । মণি তাহা বুঝিতে পরিল কিন্তু তাহার পা চলিল না, লজ্জায় তাহার সমস্ত দেহু লাল হইয়া উঠিল, তাহার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কঁাপিতে লাগিল, কিন্তু তাছার মনে হইল যে তাহার পা দুখান অসাড় হইয়া গিয়াছে । ফণা তাহার রক্তবর্ণ সলজ্জ দেহের শোভা দেখিতে দেখিতে আত্মহারা হইয়া গেল, তাহাকে দাড়াইতে দেখিয়া তালুপম জিজ্ঞাস করিল, “কি হে, দাড়ালে কেন ?” তখন ফণীর চমক ভাঙ্গিল, সে তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, “একটা কথা মনে পড়ে গেল, তা থাক পরেই হবে । চল আগে তারাপদ বাবুর সঙ্গে দেখাটা করে আসি।” মণি তখনও দাড়াইয়াছিল, তাহ দেখিয় অনুপম কিছুমাত্র আশ্চর্য্য হয় নাই, কারণ শিলং এ থাকিতে মণি সকলের সম্মুখেই বাহির হইত। ফণী যখন অনুপমের সাহায্যে তারাপদ বাবুর দুভেস্থ্য দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিল, মণি তখনও পাথরের মৃষ্টির মত স্থির তই য়া দাড়াইয়া রহিল । মণি শিলং ছাড়িয়া চলিয়া আসিবার একমাস পরে এক রবিবারে হারাণ হঠাৎ মাতাজী তপস্বিনীর প্রিয় শিষ্য নিতাইস্কন্দরের দেখা পাইয়া স্তম্ভিত হইয়া গেল । সে তখন বাজারে যাইতেছিল, হঠাৎ নিতাইকে দেখিয় তাহার মাতাজীর কথা এবং সঙ্গে সঙ্গে
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।