অনুক্রম Se \ٹ লক্ষেীরের নবাব বংশের ইতিহাস লিখিবার অছিলায় ফণীন্দ্র যখন তারাপদ বাবর ভেদ্য দুর্গের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিল তখন , মণিমালিনী মনে মনে হাসিল । অভ্যন্ত শাস্ত শিষ্ট সুবোধ বালকের মত ফণী তারপদ বাবর পড়িবার ঘরে বসিয়া নিবিষ্ট চিহ্নে বিশ্বাসঘাতকের বংশের কথা শুনিয়া যাই ত । তারাপদ বাস প্রথমে মনে করিয়াছিলেন যে ফণ লক্ষ্মেীয়ের নবাব বংশের কথা কিছু কিছু জানে সুতরাং তিনি প্রথম প্রথম যাহা বলতেন ফণী তাহার কিছুক্ত বুঝিতে পারিত না । তথাপি সে একজন বিজ্ঞ বিচক্ষণ সাহিত্যসেবীর মত তারাপদ বাবুর কথাগুলি নোট বইতে টুকিয়া লইত । দুষ্ট চারিদিন পরে তারাপদ বাব বুঝিতে পারিলেন যে, সে কিছুই জানে না বা কিছুই পড়ে নাই, কিন্তু তখন ও তাহার উৎসাহ কমিল না । কারণ ফণী যেরূপ কষ্ট করিয়া নোট লিখিত তাহাতে ফণীর উদেখা সম্বন্ধে তাতার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয় গিয়াছিল । তারাপদ বাপু যখন ফণীকে লক্ষুেণয়ের ইতিহাস শিক্ষা দিতেন তখন তিনি অত্যন্ত অন্যমনস্থ হইয়া যাইতেন, মাঝে মাঝে তিনি মণিকে পড়িবার ঘরে ডাকাইয় পাঠাইতেন কিন্তু মণি দূর হইতে ফণীকে দেখিতে পাইলে বীরবলকে পাঠাইয় দিত ; ফণী অবশ্য ইহাতে মনে মনে বড়ই চটিত, কারণ, অনুপম তাহকে শিলং-এর কথ। বলিয়া ফেলিয়াছিল। একদিন তারাপদ বাল গাজীউদ্দিন হযুদর শাহের কথা বলিতে বলিতে একখানি পারসী কেতাব চাহিলেন, ফণী উঠিয়া খুজিতে আরম্ভ করিল, হঠাৎ তারাপদ বাবুর মনে পড়িয়া গেল যে কেতাবখানি, হাতে-লেখা ও বড় দামী সেইজন্য সেখান লোহার
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।