পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ) ; অতুক্রেম কেমন করে জানতে পেরেছিল তা বলতে পারি না, শুনেছি স্ত্রীলোকে বুঝতে পারে, পুরুয়ে বুঝতে পারে না । মণি কোন দিন আমার মুখের উপর কোন কথা বলেনি কিন্তু সেদিন সে বললে, তুমি যদি ক্ষীরোদার কাছে পড়ে থাক তাহলে আমি এখানে আর থাকতে পারব না । তখন জুতো শুদ্ধ লাথি মেরে তার একটি দাত ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলুম। তারপর দিন ফিরে এসে শুনলুম যে মণি আবার পালিয়েছে !” * ধীরেন বলিয়া উঠিল, “ঙ্গার বলে কাজ মাই নিতাই বার ।” ধীরেন উঠিয়া দাড়াইল দেখিয় নিতাই তাহার দুইপানি হাত রিয়া বসাইল এবং বলিল, “আর একটুখানি আছে ধীরেন বাপু, সেটুকু না বললে আমার প্রায়শ্চিত্ত পূর্ণ হবে না, তার একটুপানি শুকুন। তার পর কি করলুম জানেন, নিজের মুখে রটিয়ে দিলুম ধে, আমার পরিবার বেশুl, তার উপপতির দেখা পায় না বলে পালিয়ে গিয়েছে । পাড়ার লোকে সমাজের লোকে সবাই বললে যে, নিতাইয়ের কোন দোষ নেই । পুরুষ বাচ্ছ। আমন করেই থাকে, কিন্তু মেয়েট। নিশ্চয় খারাপ, নৈলে দু-মুবার পালাবে কেন ? তার পর কি করলুম জানেন ? পুরুষ বাচ্ছা হয়ে নিজের স্ত্রীকে নিরপরাধী জেনে তার সমস্ত আশ্রয় ঘোচালুম। তার মামাত-ভায়ের তার কলঙ্কের কথা শুনে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে ; তার পরও মণি এসেছিল, মাপ চাইতে এসেছিল, তার মাকে সঙ্গে করে ক্ষমাভিক্ষা করতে এসেছিল— তখন কি বলেছিলুম জানেন ? তখন পুরুষসিংহ হয়ে নিজের স্ত্রীকে বলেছিলুম-ৰূপ আছে—যৌবন আছে—রোজগার করে খেয়ো।" ধীরেনের মুখখান তখন লাল হইয়া উঠিল ; তাহার হাত-পা ঠক্‌ঠক্‌ করিয়া কাপিতে লাগিল। তাহ দেখিয়া নিতাই সুন্দর আবার