পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 〉切ー অতুক্রেম কুলত্যাগ করিয়া চলিয় গেল, অনুপম তাহা বুঝিতে পারিল না। ক্রমে ক্রমে মণির প্রতি ভালবাসার পরিবর্তে অশ্রদ্ধার সহিত সমস্ত নারীজাতির উপরে অবিশ্বাস ও ঘূণা জন্মিতে লাগিল। ধীরেশ তখনও মণির সন্ধান পরিত্যাগ করে নাই কিন্তু অনুপম ক্রমে বীতস্পৃহ হই য়ু পড়িতেছিল। নিতাইসুন্দর যখন কাশী ছাড়িয়া বুন্দাবনে আসিয়৷ পৌছিল, তখন অনুপম হঠাৎ একদিন তাহাকে বলিয়া বসিল, “কেন আর বিদেশে ঘুরে ঘুরে কষ্ট পাচ্ছেন ! নিতাই বাপু, বাড়ী ফিরে যান। তার যদি ফিরে আসবার ইচ্ছে থাকত, তাহলে এতদিন তার খোজ পাওয়া যেত ।” নিতাই শুল্কমুখে বলিল, “এটা আমার বষ্ট নয়, অনুপম বাবু, আমি তার ওপর যে অত্যাচারটা করেছি, তারই প্রায়শ্চিত্ত কচ্ছি । এটা কষ্ট নয়—আমার কাছে আনন্দ । আমার অত্যাচারে আশ্রয়হীন হয়ে মণি যে কষ্ট পেয়েছে, তার দশগুণ বষ্ট আমার পাওয়া উচিত । স্বর্গ নবুক এইখানেই, মরণের পরে স্বগের মুখ বা নরকের যন্ত্রণ ভোগ কর কথার কথা মাত্র। আমাদের দেশের মানুষকে কর্ম্মফল বোঝাবার জন্যে এই সকল উপাখ্যানের সৃষ্টি হয়েছিল । আমি কোনো কষ্ট অনুভব করছি না, বরঞ্চ সে সতী লক্ষ্মী আমার ভায় আশ্রয় ছেড়ে চলে এসে কত কষ্টই ন জানি পাচ্ছে । ” e f হঠাৎ অনুপম হাসিয়া উঠিল । ধীরেশ ও নি ভাই আশ্চর্ষ্য হইয়। তাহার মুখের দিকে চাহিল। অনুপম বলিয়া উঠিল, “সতী লক্ষ্মীই বটে! আমিও প্রথমে তাই মনে করেছিলুম। দেখুন, মেয়ে মানুষের চরিত্র পুরুষে বোঝে না, কোনোকালেই বোঝে না। আপনি তার স্বামী, তার ওপর অত্যাচার করেছিলেন বলে মনের গ্লানিতে এত কষ্ট স্বীকার কচ্ছেন। কিন্তু আমি কি করেছি জানেন ? আমি তাকে