পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুক্তম - છે આ ૭ অভিভাবকের প্লাটফরমে ফণী:ক ঘিরিয়া দাড়াইয়াছিলেন। তাহার। , জিজ্ঞাসা করিতে আরম্ভ করিলেন, কি হয়েছে মশাই ? মেয়েটি কে মশাই ? ফণী অম্লান বদনে তা হাদিগকে বলিল, “ কি আর বলব মশাই, আমারষ্ঠ স্ত্রী, দেশ থেকে কাশীতে পালিয়ে এসেছিল, তারপর আমি আসছি শুনে আর কোথায় পালাচ্ছিল । তিন দিন অনাহার অনিদ্রার পরে এই এলাহাবাদ ষ্টেসনে এসে ধরেছি। আপনার একঢ় সাহায্য করুন না, মশাই ? ওকে নামিয়ে ওয়েটিং রূমে শোয়াই ৷ ” ফণীর অনুরোধমত আরও তিনজন ভদ্রলোক মণিকে তুলিয়। সেকেণ্ড ক্লাস ওয়েটিং রুমে লহয় গেলেন । অনেক ক্ষণ পরে মণির যখন চেতনা ফিরিল, তখন সে দেখিল যে, তাহার প[শে পুলিসের ইউনিফরম্পরা একটি বাঙ্গালী ভদ্রলোক আর ফণী দাড়াইয়া আছে । মণি উঠিয়া ভদ্রলোকটির প। জড়াইয়া ধরিয়া বলিয়া উঠিল, “ দেখুন, আমি বড় অনাথ, আপনি আমার ধর্ম্ম-বাপ । আপনি আমার ধর্ম্ম রক্ষা করুন । ও আমার কেউ নয় । আমার স্বামীর নাম নিতাই সুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ; আমি ৪র ভয়ে মামার আশ্রয় ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলুম। ” মণির কথা শুনিয়া ফণী একটু হাসিয়া ভদ্রলে কটিকে বলিল, “ দেখলেন মশক্তি, কি বলেছিলুম ; নিতাই আমাদের পাড়ার সেই বয়াটে ছেলেট, তার জন্যই আমার সংসারটা ছ। রথার হয়ে গেল । ” ফণার কথা শুনিয়া রাগে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া মণি বলিয়া উঠিল, “ তুষ্ট কোন মুখে এ-সব কথা বলছিস্ ন স্থার ? জানিস্, আমি ভদ্রলোকের স্ত্রী, জানিস এর জন্যে তোর একদিন জেল হবে ? ” মণিকে একটা ধমক দিয়া ভদ্রলোকটি বলিয়া উঠিলেন, “ দেখ বাছা, তুমি এখন পুলিসের হাতে, আমি রেলের পুলিসের ইনস্পেক্টর