অতৃক্রম > ミ堂 বটে, অনেক শাল ডাক্তারকে বোতল-বোতল বিলিতি মদ খাইয়ে তবে আদায় করেছি। কিন্তু ওষুধের একট। অনুপান আছে ত ? এক পাত্র থেলেই একেবারে ষোড়শোপচার " মণি একটু হাসিয়া বলিল, “ খাব ৷ ” ফণী তাহার কথা শুনিয়। একট। লাফ দিয়া বলিয়া উঠিল, “ ইয়। আল্লা, যীশুখৃষ্ট, চৈতন্যচন্দ্র, কেশবসেন, ওলা দেবী, শীতলা দেবী, ধর্ম্ম ঠাকুর, সকলকে জোড়া জোড়া পাঠা দেব বাবা । মণি, তুই উঠে আয় । হাত মুখ ধুয়ে চেহারাট। বদলে ফেল। " মণি ও তাহাই চাহিতেছিল । ফণী তাহাকে একটা বড় ঘরের পাশে গোসলখান দেখাইয়া দিল । মণি গোসলখানার দুয়ারটা ভেজাষ্টয়া দিল বটে কিন্তু বন্ধ করিতে পারিল না । কারণ, ফণী তাছার উপায় পূর্ব্ব হইতেই ঘুচাইয়। রাখিয়াছিল । মণির অবস্থা বুঝিয়। ফণী বলিয়। উঠিল, “ এখানে কাচ ক{জ পাবে না বাপ ধন । এ পক। জহুরী ৷ ” মণি গোসলখানায় ঢুকিয়া মাথায় ঘটিতে করিয়া ঠাণ্ডা জল ঢালিতে লাগিল। অনেকক্ষণ পরে তাহার শরীর সুস্থ হইল । তখন সে কাপড় ছাড়িয়া আঁচলটা কোমড়ে জড়ায় বাধিয়া হল-ঘরে ঢুকিল । সে ভারিয়াছিল যে ফণী হয় ত আনন্দে মদ খাইতে আরম্ভ করিয়াছে । কিন্তু হলে ঢুকিয়াই হার সে ভূল ঘুচিয়া গেল। ফণী পড়খড়ির ফাক হইতে তাহাকে দেখিতেছিল । স্নান শেষ হইলেই সরিয়া আসিয়াছিল । মণি তখন তাহাকে বলিল, “ বড় ক্ষিদে পেয়েছে ভাই । ” তাহ! শুনিয়া ফণী ঘরের কোণ হইতে একরাশি থাকার লইয়! আসিল । মণিভুক খাইতে দেখিয়া ফণী দুইট। বোতল ও দুইটা প্লাস বাহির করিল। খাইতে খাইতে দুইট। বোতল দেপিয়া মণি জিজ্ঞাসা করিল, “ ও আবার কি ? ” -
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।