পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> abr অন্তক্রেম ఫిసె ফণী মরিল না । বিজ্ঞান-মতে তাহার মরা উচিত ছিল এবং পুলিস ও আশা করিয়াছিল, সে মরিবে । কিন্তু তাহার মাথার খুলিট ভাঙ্গিয়া আবার জোড় লাগিয়া গেল । সুতরাং মাস দুই পরে সে না মরিয়! আবার বঁচি উঠিল; সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের একটা সঙ্গিন মোকদম ফাসিয়া যাইবার উপক্রম হইল । হঠাৎ একদিন মণি মুক্তি পাইল । সে যখন জেলখান! তইতে বাহির হইল, তখন ফাটকের কাছে নিতাই সুন্দর, ধীরশ ও অতুপম দাড়াইয়া ছিল । হাজতে আসিবার পূর্ব্বে মণির হাতের চুড়িগুলা খুলিয়। গিয়াছিল । জেল দারোগ যখন সে গুলি ও তাহার সামান্য সম্বল ফিরাইয় দিল, তখন মণি ধীরেশের হাতে পাঁচ টাকার একখান! নোট গুজিয়া দিয়া তাহাকে বলিল, “ধীরু-দা, আমাকে এক জোড়া লালপেড়ে বিলাতি শাড়ী কিনে এনে দাও।” তখন কাহারও আহার হয় নাই শুনিয়া মণি অনুপমকে বাজারে পাঠাইয়া স্বামীর সঙ্গে বাস খুজিতে বাহির হইল । ধীরেশ ও অনুপম যখন চলিয়া যাইতেছে, তখন মণি ডাকিয়া বলিল, “ধীরু-দ। ছ-গাছা কাচের চুড়ি আর একপাত চিনে সিঁদুর আনতে "ভূলো না ? " দারগঞ্জে একটা বাসা ঠিক করিয়া মণি স্নান করিয়া আসিয়৷ স্বামীকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কি আমার রায় খাবে ? ” . নিতাইস্কন্দর একমুখ হাসিয়া উত্তর দিল, “কেন খাব না" } মণি তাড়াতাড়ি টিপ করিয়া একটা প্রণাম করিয়া উনানে আ গুন দিতে চলিয়া গেল ।