পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ગઈ. অনুক্রম নিতাই সুন্দরকে বলিলেন, “আমি ভেবেছিলুম যে, একদিন তুমি নিজে এমনি করে মণিকে সঙ্গে করে আমার বাড়ীতে নিয়ে আসবে। ” মণি এতক্ষণ নির্ব্বাক হইয়া বসিয়াছিল ; এখন সে আব স্থির থাকিতে পারিল না। মিসেস মজুমদারের বুকের উপর ঝাপাই য়ু পড়িয়া কাদিয়া ভাসাইয়া দিল । লক্ষেীয়ের নবাব-বংশের সঙ্গে বেবীর ছেড়া নেকড়ার পুতুলটার যে একটা অনিদিষ্ট সম্পর্ক ছিল, তাহ বুঝিতে পারা গেল বটে কিন্তু সেট আর স্থির হইল না । কারণ, বুদ্ধ তারাপদ বাৰু সেইদিন হইতেই বেবী ও তাহার পুতুলের সেবায় নিবিষ্ট চিত্তে নিযুক্ত হইয়া গেলেন । ধীরেশের বিবাহের জন্য.ম্যু এলাহাবাদে আসি প্রয়োজন হইল বটে কিন্তু খুড়া বিশ্বনাথ বক্টোপাধ্যায় মহাশয় শান্ত্রিরূপে তাহার সঙ্গে থাকিয়া সকলের বিস্ময় উৎপাদন করিয়ু দিলেন, অথচ কাহারও কোনও কথা বুঝিতে বাকি রহিল না । অনুপম প্রকাশ্বে দুই একবার “ যাইব ন৷ ” বলিল বটে, কিন্তু পরে শুঙ্খলাবদ্ধ সারমেয়ের মত বিশ্বনাথ খুড়ার সঙ্গে সঙ্গে চলিল । তাহাকে ও ধীরেশকে তুলিয়া দিতে কেবল হারাণ ষ্টেশনে আসিল, কিন্তু মণি আসিল না ; এমন কি, মণির কুকুরটা পর্য্যস্ত পলাইয়া গেল । ফণী এখন গেরুয়া কাপড় পরিয়া প্রতিদিন অপরাহ্লে হিন্দুধর্ম্মসম্বন্ধে ওজস্বিনী বক্তৃতা করিয়া দশাশ্বমেধ ঘাটে কাশীবাসিনী রমণীসমাজকে মুগ্ধ করে এবং সন্ধ্যার পরে কি শীত কি গ্রীষ্ম “ লোট ভর ভাঙ্গ ” পান করিয়া ক্ষুধাবৃদ্ধি করিয়া থাকে । প্রতিমাসে একবার সে মাথার কাটাটায় হাত বুলাইতে বুলাইতে মণিকে মাতৃ-সম্বোধন করিয়া একখানি পত্র লেখে ।