অনুক্রম vt পথে বিষম বিপদ ! হালদার মশায়ের সঙ্গে চৌরাস্তায় দেখা, তিনি ধরে ফেলেই জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোড়াটা তার মেয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছি বুঝি— —বেশ তো, তাতে তুমি এত লজ্জা পাচ্ছ কেন, নেড়া-দা ? ওঃ, শ্বশুর বলে বুঝি ! সেকালে শুনেছি শ্বশুর-শাশুড়ীকে দেখলে ভয়ানক লজ্জ করতে হত । তা, নেড়া-দা, তুমি তো ততটা সেকেলে ফ্যাসানের নও ! তুমি বল্পে না কেন যে ই শ্রীমতী ললিতার জন্যই এমন সুন্দর করে তোড়াটি বেঁপেচি ! —কেমন করে এই জলজ্যান্ত মিথ্যে কথাটা বলি ? তোড়াট বাধাবার সময়ে শ্রীমতী ললিতাসুন্দরীর কথা আমার একবারও মনে হয় নি ? —ছি, নেড়া-দা, মিথ্যে কথাটি কেমন করে বল্লে ? —মাক্টরি বলছি, ঈশ্বরের দিব্যি বলছি, আর যে দিব্যি করতে বলবে তাই করে বলছি, ও তোড় আমি... ...আর-এক জনের জন্যে নিয়ে যাচ্ছিলুম। কথাটা শুনিয়া এক মুহূৰ্বের জন্য মণির মুখখান লাল হইয়া উঠিল । অনুপম মুখ নামাইয়া লইল । হালদার মহাশয়ের রিকশ একটু দূরে গিয়া থামিয়াছিল। ভাবী জামাতার বিলম্ব দেখিয় তিনি একজন কুলীকে পাঠাইয়া দিলেন, সে আসিয়া অনুপমকে জানাইল, সা’ব বোলাত । অনুপম রাগিয়া বলিল, “আবি দের হোগা, সাবকে চল৷ যানে বোলো ।” - মণিমালিনী তাহাকে বাধা দিয়া বলিল, “ছি ছি, নেড়া-দা, শ্বশুর বাপের সমান, আমন জবাব কি ভাল দেখায় ? তুমি এখুনি চলে
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।