পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 অতুক্রেম যে, ব্রাহ্মদের দলে মিশে আমার চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে, তার আমার চরিত্র-দোষের প্রধান কারণ মণি-দিদি । বলিতে বলিতে হারাণের চোখ আবার জলে ভরিয়া আসিল । মাসি-মা তাহার চোখ ছাই॥ তাহাকে শাস্তু করিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, “বাবা, বউ-মাকে এমন মন্ত্র র্কে দিলে ? আমার বউ-ম কখনই নিজের ইচ্ছায় এমন কথা মুখে অনিতে পারে ন৷ ” —ভাল কথা মনে করে দিয়েছেন, আমাদের শিলংএর বাঙ্গালী মাগীর সব রণরঙ্গিণা হয়ে উঠেছে | কোথা থেকে এক মা-ঠাকুরণ এসেছেন, আর বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে অশান্তি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন । শুনচি, তিনি সধব, কিন্তু স্বামী ত্যাগ করেছেন, তার সঙ্গে আর একজন পুরুম আছেন—তিনি নাকি তার ধর্ম্ম-ভাই । শুনতে পাই, মা-ঠাকরণ যোগিনী, সংসার-ত্যাগিনী, কিন্তু তার ভোগ-বিলাসের মাত্র। দেখলে তাকে ঘোর সংসারী বলেই বোধ হয়। এই মা-ঠাকুরুণের মস্ত্রেই মাগগুলো সমস্তই বিগড়েছে, একেবারে রণরঙ্গিণী হয়ে নামৃতে আরম্ভ করেছে । মা-ঠাকুরুণ নাকি তোমার বেীকে শিখিয়ে দিয়েছেন যে, স্বামী উচ্ছ স্থল হলে তাকে শাসন করবার অধিকার হিন্দু স্ত্রীর পূর্ণ মাত্রায় আছে । আমি নিষ্ঠাবান হিন্দুর ছেলে হয়ে যখন ব্রাহ্মদের সঙ্গে এত মিশি, তখন নিশ্চয় আমার চরিত্র-দোষ জন্মেছে । মা-ঠাকুরুণ নাকি মোগ-বলে জানতে পেরেছেন যে মণি-দিদি— হারাণের কথা রুদ্ধ হইয়া আসিল, সে আর বলিতে পারিল না – কিন্তু তাহার অবস্থা দেখিয়া মাসি-মা হাসিয়া উঠিলেন । তিনি বলিলেন, “বৌমার রোগটা যত কঠিন ভাবছিস হারু, তত কঠিন নয় । তোর মেসোমশায় বলতেন যে, মেয়েদের উৎকট ধর্ম্ম-পিপাসা এক রকম হিষ্টিরিয়া ।”