8ッ অনুক্রম স্থলাঙ্গিনী গীতার ব্যাখ্যা করিতেছিলেন—আর ভক্তিগদগদ-চিত্তার! তন্ময় চিত্তে তাঙ্গ শুনিতেছিলেন । “আমার গুরু বলতেন যে, গীত৷ পঢ়াওয়ে কোন শালা, আর পঢ়ে কোন শালা ?” তিনি লোকই মরে গালিগালাজ করতেন বটে, কিন্তু তিনি মহাপুরুষ ছিলেন, তা’ নইলে গীত, সঙ্গন্ধে এত বড় কথা কি কেউ বলতে সাহস করে ? গীতার মোট কথাটা হচ্ছে—“সর্ব্বপর্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ । এর অর্থ অনেক লোক অনেক রকম করে, কিন্তু এর অর্থ হচ্ছে, এখন যে, যা করছ ত ছেড়ে দিয়ে ব্রজে এসে আমায় স্মরণ কর । তোমরা বোধ হয় বুঝতে পারলে না ? এই মনে কর, স্ত্রী ভক্তিমতী, স্বামী ভয়ানক পাপী,—এ ক্ষেত্রে সে স্ত্রীর স্বামী পরিত্যাগ করে ব্রজে যাওয়া উচিত, আর স্ত্রী যদি পাপিনী হয়, তা হলে ধর্ম্মমতি স্বামীর তৎক্ষণাং ব্রজে যাওয়া উচিত ।” মাসি-মা কুয়ারে দাড়াইয় গীতার ব্যাখ্যা শুনিয়া স্তম্ভিত হইয়। গেলেন । র্তাহার মুখ দিয়া কথা সরিল না । হারাণের স্ত্রী তাহাকে দেখিয়া পূর্বের অভ্যাস-মত ছুটিয়া আসিল, কিন্তু অন্যান্য ভক্তারা তাহার দিকে এমন কঢ় মটু করিয়! চাহিয়া রহিল যে, সে বেচার অৰ্দ্ধপথেই থামিয়া গেল ! তখন মাসি-মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “বেী, আমি জুতো খুলে ভিতরে আসতে পারি ?” হারাণের স্ত্রী বাধ্য হইয়া বলিল, “আসুন,—” কিন্তু মাসি-মার পিছনে মণিমালিনীকে দেখিয়ই সে একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া গেল । মণি কিন্তু কিছুমাত্র অপ্রতিভ ন হইয়া বলিল, “বেী-দি, আমিও গরদের কাপড় পরে এসেছি, ভিতরে অন্নসবে কি ?” মণিকে দেখিয়া হারাণের স্ত্রী রাগে জলিয়া উঠিয়াছিল, সে উত্তর দিতে পারিল না ; কিন্তু গীতা-শিক্ষয়িত্রী প্রসন্ন বদনে বলিলেন,—“এসো
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।