অসুক্রম بوری “বেশ করেছিস । এখন নাইতে য " বলিয়া তারাপদ বাৰু সটুকার নলে মনঃসংযোগ করিলেন। মণি তখন হইতে এই নীরব পরিবার-ভূক্ত হইয়া গেল । ". . কাহাকেও না বলিয়া মাসি-মার সাহায্যে মণি এক শিলং হইতে চলিয়া আসিয়াছিল । সে যে-বেশে আসিয়াছিল, সে-বেশে কেহই তাহাকে শিলং-এর মেম-ডাক্তার বলিয়া চিনিতে পারে নাই । কারণ সে জুতা-মোজা ছাড়িয়া একখানা মোট শাড়ীর উপরে মোট চাদর মুড়ি দিয়া পদানশীন গৃহস্থের কুলবধূর বেশেই শিলং পরিত্যাগ করিয়াছিল । অনুপম আসিয়া মণিকে দেখিতে ন পাইয়। তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া গেল। জজবাজার ভূটীয় বস্তী প্রভৃতি ঘুরিস্কা আসিয়া সে দেখিতে পাইল যে ক্ষুদ্র গৃহের সম্মুখে মাসি-ম। বেবিকে পড়াইতে আরম্ভ করিয়াছেন । যতদিন মণি শিলং-এ ছিল, ততদিন এ কার্য্যট} সে-ই করিত। বেবির তত্ত্বাবধানের জন্য মাসি-মাকে কোন দিন পরিশ্রমও করিতে হয় নাই । অনুপম তাড়াতাড়ি উঠিয়া আসিয়: মসি মাকে জিজ্ঞাসা করিল, “মাসি-ম, আজ মণি কোথায় গেল ?” মাসি-মা বলিলেন, “মণি চলে গেছে, বাবা ।” “সে কি ! কোথায় গেল, কখন গেল ?” “কালকের মেলে চলে গিয়েছে ।” . সংবাদটা শুনিয়া অনুপম ৰসিয়া পড়িল । তাহার শুষ্ক মুখ আর নৈরাশু-ব্যঞ্জক দৃষ্টি দেখিয়া বৃদ্ধ মনে বড়ই কষ্ট অনুভব করিলেন । অনুপম যখন শুষ্ক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “যাবার সময় আমাদের একবার বলে গেল না ?” তখন মাসি-মা বলিলেন, “সে যে অবস্থায় গেছে বাবা, সে অবস্থায় তোমরা হয়ত তাকে যেতেই দিতে না !
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।