আমুক্রম ৬৯ তোমাদের মনে কষ্ট হবে বলে সে লুকিয়ে চলে গেছে। যাবার সময় সকলের নাম করে তার বিদায়ের নমস্কার জানাতে আমাকেই বুলে গেছে।” “সে কোথায় গেল ?” “সে কথা তো বলে যায়নি বাবা । সে অনাথ স্বামী •এসে তাকে আশ্রয়চু্যত করেছে,—সে যে কোথায় আশ্রব পাবে, তা কে বলতে পারে। সে বলে গেছে যে যেখানে আশ্রয় পাবে, সেখানকার ঠিকান তোমাদের জানাবে।” - অতুপম আর কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারিল না, তাহার মাথার ভিতরে তখন আগুন জলিতেছিল । সে মাসি-মাকে প্রণাম না করিয়াই আনমনে চলিতে আরম্ভ করিল এবং পরে বিশ্বনাথ রায় মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইলে তাহাকে একটা কুকথা বলিয়া দূর করিয়া দিল । বাজারে তাহার সঠিত হারাণের দেখা হইল । সে হারাণের হাত ধরিয়া কাদিয়া তার বাসায় গিয়া উঠিল। শ্রীশ্রী১০৮ মাতাজী তপস্বিনী ওরফে ক্ষীরোদা সুন্দরী নাপিতানী তখনও হারাণের গৃহ পরিত্যাগ করে নাই এবং মণিমালিন যে তাহদের ভয়ে শিলং পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছে, এ-কথা জানিতে না পারায় তখনও নিতাইস্বন্দরের উপর খর দৃষ্টি রাখিয়াছিল। গুরু-শিষ্যের প্রণয়-কলহে হারাণের স্ত্রী পাগল হইয়া উঠিয়াছিল। নিতাইসুন্দর পূর্ণ-যৌবনা পত্নী লাভের আশায় প্রায়-বিগত-বোঁ বন মাডাঙ্গীর কবল হইতে মুক্তি লাভের চেষ্টায় ছিল। . তাহ জানিতে পারিয়া কীবোদ তাহার শিথিল প্রণয়-বন্ধন প্রাণপণে টানিয়া ধরিয়াছিল । বিগতামুরাগ নিতাইসুন্দরের সহিত তাই সে ঘোর কলহে প্রবৃত্ত ছিল এবং সে অশ্রাব্য কলহ, শুনিতে শুনিতে হারাণ পাগল হইম উঠিয়াছিল ।
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।