পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুক্রম * * কিন্তু ক্রমশঃ মণি তাহার মনের মানসী-প্রতিমা হইয়া উঠিয়াছিল । তাহার প্রীতি ক্রমশ: প্রেমে পরিণত হইয়াছিল । অনুপমের মনের কথা হারাণ জানিত, ধীরেন অনেকটা আন্দাজ করিয়াছিল, কিন্তু তাহারা তিন জনে এ-কথা প্রকাশ হইতে দেয় নাই । অনুপমের পিতা গোবিন্দ বাবু আবগারী বিভাগে চাকরী করিয়া এবং পাহাড়ীদের নিকট প্রচুর পরিমাণে স্বদ আদায় করিয়া প্রভূত ধন সঞ্চয় করিয়াছিলেন । তাহার ধমের খ্যাতি যে বিবাহ-কালে র্তাহার একমাত্র পুত্রের মূল্য বৃদ্ধি করিবে তাহ। তিনি জানিতেন এবং প্রচুর ধনের সঙ্গে সুন্দরী ধনি-কন্যা বধুরূপে ঘরে আনিবার আকাঙ্ক্ষা র্তাহার মনে অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল । কন্যার উপর কন্যা জুটিতেছিল কিন্তু অনুপম বিবাহ করিতে রাজী না হওয়ায় বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের মনের আশা মনেই রহিয়া গেল । ক্রমশঃ তাহার কুলপ্রদীপের উপর ক্রোধ বাড়িতে লাগিল ; কিন্তু হিন্দুর সংসারে ক্রোধের মাত্রা নানা কারণে প্রকাশ হইতে পায় না, সুতরাং তাহার মনের ক্রোধ মনেই রহিল । নানা কথার সঙ্গে মণিমালিনীর সহিত অনুপমের ঘনিষ্ঠতার কথা তাহার কাণে আসিয়া পৌছিল বটে কিন্তু গৃহিণী যখন বলিলেন যে বয়সকালে এ-জাতীয় দোষ মার্জনীয়, তখন আর তাহার বাক্যক্ষদ্ব হইল না। কিছুদিন পরে মাসি-মা মণির পত্র পাইলেন । সে পত্রে যে তাহার কাশীর ঠিকান জানাইয় তাহার দাদা তিনজনকে প্রশ্নাম জানাইয়াছে । যেদিন মণির পত্র আসিল, তাহার পরদিন অনুপম শিলং পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল । হারাণ ও ধীরেন পরের দিন তাহার অফিসে সন্ধান করিয়া জানিল যে, অকুপম চাকরি ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে । সৈই দিনই সন্ধ্যাবেল অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া বিশ্বনাথ রায়