१३ , অনুক্রম মহাশয় গোবিন্দ বাবুর স্বদের টাকা হইতে তিন টাকা খরচ করিয়া তাকে একখানি টেলিগ্রাম করিয়া ফেলিলেন । చిe দেবনাথপুরার মোড়ে একখানা অতি পুরাতন ত্রিতল অট্টালিকায় অনেকগুলি কাশীবাসিনী একত্র বাস করিয়া যথাসম্ভব ধর্ম্ম ও পরচর্চায় দিন কাটাহঁতেন । অট্টালিকার দ্বিতলে ও ত্রিতলে অনেকগুলি ঘর খালি পড়িয়া থাকিত-যাত্রীরা আসিয়; কখনও কখনও সেই সমস্ত ঘর ভাড়া লইত । এই বাড়ীর মালিক ত্রিপুর ঠাকুরাণী । তিনি ব্রাহ্মণ-কন্যা । বর্ণ ঘনশ্রাম, বয়স চল্লিশের উপর, কিন্তু উৰ্দ্ধরেখা অনির্দিষ্ট । শুনিতে পাওয়া যায়, ত্রিপুব দিদির বিবাহ হইয়াছিল । সে কথা বিস্মৃত হইয়াও তিনি সধবার লক্ষণ পরিত্যাগ করেন নাই । ত্রিপুরা দিদি দেবনাথপুরার সাধারণ দিদি এবং সমস্ত বাঙ্গালীটোলার ত্রিপুর দিদি । তাহার কতকগুলি অসাধারণ ক্ষমতা ছিল । সেই জন্য তিনি কাশীবাসিনীদিগের সমাজ বহুপূর্ব্বে অনায়াসেই জয় করিয়াছিলেন। কলহের সময় তাহার কণ্ঠস্বর যতদূর উঠিত, আর কাহারও তেমন উঠিত কি না সন্দেহ । সময় সময় তিনি সত্য সত্য পরোপকার করিয়া ফেলিতেন এবং ইচ্ছা করিয়া কাহার ও অপকার করিতেন না । দরিদ্র, মরণ-পথের যাত্রী তার আশ্বাস-বাণী স্মরণ করিয়া নিশ্চিন্তমনে অকুলের পরপারে যাত্রা করিত। অন্নহীনা অনাথিনী তাহার আশ্রয় পাইয়া অন্নপূর্ণার ক্ষেত্রে অন্নের অভাব বোধ করিত না । এই সমস্ত গুণে কাশীবাসিনীর সমাজ তাহার প্রতি সত্যই অসুরক্ত হইয়া পড়িয়াছিল । তবে যাহারা তাহাকে ঈর্ষা করিত তাহাদিগের বুদ্ধির অভাব হইলেই তাহার সংস্পর্শে জাসিত । $
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।