অসক্রম - כיוי তারাপদ বাবু যে বাড়ীতে থাকিতেন সেটিও ত্রিপুর দিদির বাড়ী। ত্রিপুরা দিদি যে বাড়ীতে থাকিতেন তাহ তারাপদ বাবুর বাড়ীর দুই-তিনখানি বাড়ী পরে। তারাপদ বাবুকে লইয়া ত্রিপুর দিদির কোন দিন কোন অসুবিধা ভোগ করিতে হয় নাই । কারণ, তিনি নিজে বাড়ী মেরামত করাইতেন এবং বীরবল মাসের প্রথমে ভাড়ার টাকা দিয়! যাইত । দশ বংসর কাশী-বাসের পরেও সেই জন্য ত্রিপুর দিদি র্তাহার বড় ভাড়াটিয়াকে দেখিতে পান নাই । মণি আসিবার পরে হঠাৎ একটা সামান্ত কি ব্যাপার উপলক্ষে সকলে ত্রিপুরা দিদির পরিচিত হইয়। গেলেন । মণি পূর্ব্বে কখনও কাশীতে আসে নাই ; সুতরাং রাস্তায় বাহির হইবার ইচ্ছা তাহার অত্যন্ত প্রবল হইলেও সে প্রবৃত্তি তাহাকে তারাপদ বাবুর ভয়ে দমন করিতে হইয়াছিল । তিনি অবশু কোনদিন মুখে কিছু বলেন নাই। কিন্তু মণি তাহার মাতুলের স্বভাব জানিত বলিয়াই গঙ্গাস্নানে পর্য্যন্ত ধাইত না । নীচের তলায় মণিরাম ও বীর বল বাস করিত বলিয়া মণি নিজে জল উঠাইয়া ত্রিতলের একটি কক্ষে স্নান করিত। কাশীর বানর যে কাশীর অনেক মাহুষ অপেক্ষাও বুদ্ধিমান আহা সে জানিত ন এবং মণিরাম ও বীরবল বহুবার সাবধান করিয়া দিলেও সে কথা সে মনে রাখিতে পারিত না । একদিন স্নান করিবার সময় সে তাহার শুষ্ক কাপড়থান স্বানের ঘরের বাহিরে ফেলিয়া গিয়াছিল । স্নান করিয়া আসিয়া সে দেখিল যে, একটি বড় গোছের হৃষ্ট-পুষ্ট বানর কাপড়খানি কোলে লইয়া ছাদের উপর বসিয়া আছে । বুনির যে সাবেক ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর মতন_অর্থ-সংগ্রহের চেষ্টায় কাপড়খানা_লইয়াছিল এবং_তাহার অর্থ যে খাদ্য, মণি তাহ জানিত না এবং সে কীরবলকে না ডাকিয়া_নিজেই তাকে তাড়া দিতে গেল ।
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।