অতুক্রেম - . "לר* “কিছুই না, এখন কি করা যায়, ভাই ? একবার হালদার সাহেবের কাছে যার ?” “তিনি তো কন্যাদায়ের চিন্তায়ই ব্যস্ত, কোন কথা বলতে গেলেই মণিদিদির সম্বন্ধে অকথা কুকথা বলতে আরম্ভ করবেন " “বলে বলুক ভাই, তবু একবার জিজ্ঞাসাটা করে আসি ।" হারাণও কি করিবে খুজিয়া পাইতেছিল না,সে ধারেনের মত একটা অবলম্বন পাইল এবং নীচের রাস্ত ধরিয়া শুনিটেরিয়ামে চালুয়৷ গেল । হালদার সাহেব তখন রায় বাহাদুর খেতাব পাইবার আশায় উৎফুল্ল হইয়া বসিয়াছিলেন ; কারণ সেই দিন একজন গৌরাঙ্গ কর্ম্মচারী তাহাকে মোলাকাত করিবার আদেশ দিয়াছিলেন । তাহার সম্বন্ধে হারাণ সত্য কথাই বলিয়াছিল, মণির সঙ্গে সঙ্গে অনুপম অন্তর্ধান করিলে হালদার মহাশয় নিশ্চিত বুঝিয়াছিলেন যে, তাহার ভবিষ্যং জামাতা-চন্দ্র মণির হুকুম-মতই শিলং হইতে চলিয়া গিয়াছেন । পুলিশ সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া চারিদিক অমুপমের সন্ধানে পুলিশ লাগাইয়া তিনি কতকটা নিশ্চিন্ত হইয়াছিলেন । ধীরেন ও হারাণ যখন তাহার নিকট আসিয়া পৌছিল তখন তিনি চা পান শেষ করিয়া তাহরে পদমর্য্যাদার গুরুত্ব অনুযায়ী একটা হৃষ্ট-পুষ্ট কাল বর্ম্ম চুরুট ধরাইয়াছিলেন । ধীরেনকে দেখিয়া তিনি মনে মনে সস্তুষ্ট হইলেন এবং হারাণকে দেখিয়। চটিয়া গেলেন ; কারণ ধীরেন কৃতজ্ঞ হৃদয়ে তাহার সকল কথার অনুমোদন করিত কিন্তু হারাণ কেবলই তর্ক করিত। ' তাহারা আসিয়া উপস্থিত হইলে মিষ্টার হালদার ধীরেনকে বসিতে বলিয়া অন্যদিকে মুখ ফিরাইলেন । হারাণ তাহ। লক্ষ্য করিল এবং দূরে দাড়াইয়া রহিল। ধীরেন না বসিয়াই জিজ্ঞাসা করিল, “এখন কি করা যায়, বলুন দেখি ?”
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।