bペ অনুক্রম - সে প্রভাতে উঠিয়া দুই দণ্ড ধরিয়া প্রসাধন করিত এবং মুখে ও হাতে-পায়ে রং মাখিয়া তাহার উজ্জল শু্যামবর্ণ টা গৌর করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিত। রৌদ্র প্রখর হইবার পূর্ব্বে কাশীর নরনারী যখন যাত্র হইতে ফিরিয়া আসে তখন এই ব্যাঘ্র শিকারে বাহির হইত। পথে যাইতে যাইতে তাহার সর্বদা মনে হইত যে, গবাক্ষ হইতে নাগরী তাহার মস্তকে পুষ্প বর্ষণ করিতেছে অথবা তাহার সহিত মিলনের আশায় দূতী পাঠাইয়া অন্তরালে লুকাইয়া আছে। লোকে তাহার মুখে রং অথবা পাউডার দেখিয়া প্রকাশে উপহাস করি কিন্তু সে সকল উপহাসের কথা সে শুনিয়াও শুনিত না । যাত্রার সময়ে ভদ্র মহিলারা তাহার উৎপাতে অস্থির হইয়া উঠিতেন, কিন্তু প্রকাশ্যে কেহ কিছু বলিতে ভরসা করিতেন না । কাশী-বাসিনী দুই সম্প্রদায়, স্থিরমতি ও অস্থিরমতি । যাচাদিগের চিত্তে চঞ্চল্য বিদ্যমান ছিল, BBBBB BBBBS BB BBBS BBB BB BB BBBS BBB দিগ্বিজয়ী বীরের মত সে উল্লাসে ফুলিয়া উঠিত । কিন্তু চিত্তচাঞ্চল্যবিহীন কুলনারী তাহার অপাঙ্গের কটাক্ষ ঘৃণা ও অবহেলা করিলে তাহার মনটা দমিয়। যাইত। ব্যাঘ্র কিন্তু সহজে পরিত্যাগ করিবার পাত্র নহে, সে যথাসাধ্য ভদ্রমহিলাদিগকে ত্যক্ত করিতে ছাডিত না এবং সুবিধা পাইলে অন্ধকারে অথবা লোকের ভিড়ে তাহাদিগের অঙ্গে হস্তাপণ করিতেও কুষ্ঠিত হইত না । ব্যাঘ্র ভদ্রবংশ-সস্তৃত, তাহার পিতামহ অনেক উপায়ে বহু অর্থ উপার্জন করিয়াছিলেন বলিয়া ভয়ে গ্রামের লোকে তাহার নাম উচ্চারণ করিত না । শুনিতে পাওয়া ষায় যে, এই ব্যান্ত্রের পিতামহ ডাক্তারী পাশ না করিয়া ও হুগলীতে চিকিৎসা করিতেন এবং চিকিৎসা না করিয়াই প্রভূত অর্থ উপার্জন করিয়াছিলেন। ভাস্কার অর্থ পুত্র ও
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।