অনুক্রম *意 তুমি ত দুনিয়ার জিনিস নও, তুমি যে স্বগের পরা, আমি তোমায় পেলে হাওয়া হ’য়ে আশমানে উড়ে যাব আল্প কথন মটীতে নামতে দেব না । পত্নখানি পেলে একবার জানাল দিয়ে মুখখানি বাড়িয়ে দেখ তাহলেই মরবে। পথের পরের বাড়ীর জানালায় আমি তোমার জন্য মুখ বাড়িয়ে থাকুব । * তামার-জীবনসর্ববস্ব । তৃতীয় দিবসে মণি যথম স্নান করিতে আসিল তখন ব্যস্ব-নিক্ষিপ্ত শর পত্র-সমেত তাহার বক্ষে গিয়া লাগিল । শরের আঘাতে মণির অনাবৃত বক্ষ কাটিয়া গেল । রক্ত দেখিয় ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় ব্যাঘ্র অধীর হইয়া পড়িল । সে বিবেক-বুদ্ধি হারাষ্ট্ৰয় জানাল দিয়া মুখ বান্ধির করিল, কিন্তু থিয়েটারের প্রেতের মত বহুবণে চিত্রিত তাহার মুখ দেখিয়া মণি সভয়ে বসন সংযত করিয়া চলিয়া গেল । S S সেইদিন বিকাল বেলায় বীরবল তারাপদ বাবুর মানের ঘরে তিনট পদ টাঙাইয়া দিয়া গেল, ক্ষুধায় অস্থির হইয়া ব্যাঘ্র ছুটিয়া বাহির হইয়া পড়িল । প্রথমেই তাহার সহিত ত্রিপুর দিদির নুতন ভাড়াটিয়ার পথে সাক্ষাৎ হইল। তাহাকে দেখিয়াই ফণী চটিয়ু গেল, কারণ সুদৃশ্ব স্ববেশ যুবা পুরুষ দেখিলেই সে তাহাকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করিয়া লইত । নবাগত ব্যক্তি যখন তারাপদ বাবুর দুর্ভেদ্য দুর্গের দুয়ারে করাঘাত করিল, তখন ফণীর রাগ আরও বাড়িয়া গেল । সে শত্র নিধনের পরামর্শ করিতে দশাশ্বমেধ ঘাটে চলিয়া গেল ।
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।