অনুক্রম సె } ফতুম্বা পরিয়াছিল। তাহার মাথার কাপড় খুলিয়া গিয়াছিল, নব প্রজলিত , দীপের আলোকে অনুপম দেখিল যে, মণি তাঙ্গার অজামুলম্বিত কেশপাশ একেবারে ছোট করিয়া কাটিয়া ফেলিয়াছে, কিন্তু তাহার সীমস্ত্রে নূতন সিন্দুর-বিন্দু অগ্নির মত জলিতেছে । এই নূতন বেশে মণিকে কিন্তু আরও সুন্দর দেখাইতেছিল, অনুপম তাহ না দেখিয়া রাগিয়া গেল । সে ক্রুদ্ধস্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “মণি, এ কি করলে ? আমি এসেছি বলে চুল কেটে ফেল্পে ?" মণি তখন একটা হারিকেন লণ্ঠনের পলিত কাটিতেছিল, সে মুখ ন৷ তুলিয়াই উত্তর দিল, “চিরটা দিনই তোমার এক ভাবে গেল নেড়া-দা ? যা মুখে আসে তাই বল, কার সামনে কি বল তার ঠিক নেই । তুমি ঘরে যাও, আমি একটু বাদে আসছি ।" অনুপম রাগে অন্ধ হঠয়া ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল এবং জাম জুতা না খুলিয়াই ধপ করিয়৷ একথান থাটের উপর বসিয়া পড়িল । আধ ঘণ্ট পরে মণি আসিয়া দেখিল যে, অন্ধকাল ধরে অনুপম তখনও সেইভাবে বসিয়া আছে, সে আশ্চয্য ইয়। জিজ্ঞাস করিল, “কি আশ্চর্য্য, নেড়-দা, জুতো খোল নি, জামা ছাড় নি, এই ঘুটফুটে অন্ধকারের মধ্যে একটি বসে আছ ? আলো নেই, তা’ একবার লোক ডাকতে নেই ? আমি ত এই বারেন্দাতে বসে আলো কচ্ছিলুম।" . 冷 以象 অনুপম মণির মুথের দিকে চাহিয়া একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিয়া উঠিল, “মণি! আমি ন বুঝে এসেছি, তুমি আমায় মাপ কর । কাল সকালে উঠে দেশে ফিরে যাব । তুমি যেমন ভাবে ছিলে তেমনি ভবেই থাক।”
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।