హె ఫి অতৃক্রম 喙 - মণি একটু হাসিয়া বলিল, নেড়াদা, আমি ইষ্টি দেবতার দিব্বি করে বলছি যে, তুমি এসেছ বলে আমি চুল কেটে ফেলিনি, তুমি জামা জুতো থোল, তারপর সমস্ত কথা বলছি ।” . অনুপম তাড়াতাড়ি উঠিয়া জুতা দুইটা ঘরের বাহিরে ফেলিয়। দিল এবং জামাটা জোড় করিয়া টানিয়া ঘরের এক কোণে ছুড়িয়া দিল । তাহার রাগ দেখিয়া মণি খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল । সে বলিল, “তোমার রাগটা এখনও যায়নি দেখছি মেড়া-দা, মাথার চুল, তোমার জন্য কাটিনি—তার কারণ অন্ত রকম " ফণির চিঠিখান তখনও মণির আঁচলে বাধা ছিল, সে তাহ অনুপমের হাতে দিল । পত্র পড়িয়া অল্পম লাফাইয়া উঠিল এবং তীব্র স্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কে মণি ?” মণি ধীর শাস্ত কণ্ঠে উত্তর দিল, “এই পাড়ারই লোক, তুমি ক্ষেপে উঠ না নেড়া-দা, তাহলে কিছুই কৰ্বে পারবে না । এ কাজ ধীর শান্ত লোকের কাজ । আমার মত অন্যথা কম বয়সের স্ত্রীলোক দেখলে সকল লোকেরই প্রেম জন্মায় । সে প্রেমটা আমি চাই কিন; সে-কথ} কেউ খোজ করে না । সবাই মনে করে যে আমরা তাদের নিমন্ত্রণের প্রতীক্ষায় এক পা বাড়িয়ে দাড়িয়ে আছি, আর তাদের অপেক্ষা কচ্ছি।” কথাগুলো শেলের মত অনুপমের বুকে গিয়া বিধিল । সে মনে করিল যে, সে নিজে মণির সন্ধানে কাশী পর্যন্ত আসিয়াছে বলিয়াই মণি তাহাকে এতগুলা কথা শুনাইল । চিঠিখানা তাহাকে ভুলাইবার উদ্দেশ্বেই মণি বাহির করিয়াছে। এই কথা মনে হইতেই অনুপম আবার ধপ করিয়া তক্তাপোষের উপর বসিয়া পড়িল । তাহা দেখিয়া মণি জিজ্ঞাসা করিল, “আবার কি হল ? ও নেড়া-দা, তোমার কি দশা লাগবে নাকি ?" • *
পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।