পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবার্ত্তন SS -কেন ? ক্লাসে কেউ নেই ? -অজ্ঞে থার্ড পণ্ডিতমশাই আছেন । তিনি ঘাড় দেখতে পাঠিয়ে দিলেন । --আলম ও হেড মাষ্টার পরস্পরের দিকে চাহিলেন । -আচ্ছা, যাও তুমিমিঃ আলম বলিলেন-চলবে না। স্যার । কতকগুলো টিচার আছে, একেবারে অকর্ম্মণ্য-শুধু ঘড়ি দেখতে পাঠাবে ছেলেদের । কাজে মন নেই এই থার্ড পণ্ডিত একজন, যদুবাবু, হীরেনবাবু, আর শরৎবাবু-আর ওই হেড পণ্ডিত -একটা নোটিশ লিখে দিন মিঃ আলম, স্কুল ছুটির পরে মাষ্টারের সব আমার সঙ্গে দেখা না করে না যায়। ঘণ্টা দিতে বারণ করে দিন-নোটিশ ঘুরে আসুক মিঃ আলম হাকিল-কে বলরাম, ঘণ্টা দিও নাএকে ঘণ্টা কাটে না, তাহার উপর ক্লাসে ক্লাসে হেড মাষ্টারের নোটিশ গেল-দুটির পর কোনো মাষ্টার চলিয়া যাইতে পরিবে না-হেড মাষ্টার র্তাহাদের স্মরণ করিয়াছেন । হেড মাষ্টারের আপিসঘরে একে একে যদুবাৰু, শরৎবাবু, নারাণবাবু প্রভৃতি আসিয়া জুটলেন । জ্যোতির্বিনোদ মশায় সকলের শেষে কম্পিত দুরু দুরু বক্ষে প্রবেশ করিলেন ; কারণ, তিনি সেই ছেলেটির মুখে শুনিয়াছেন সব কথা । তঁহার জন্যই যে এই বিচার সভার আয়োজন, তাহা তাহার বুঝিতে বাকী নাই। হেড মাষ্টার বলিলেন-ইজ এভরিবডি হিয়ার ? মিঃ আলম উত্তর দিলেন-ক্ষেত্রবাবু আর হেড পণ্ডিতকে দেখছি নে। নারাণবাবু বলিলেন-ক্লাসে রয়েছেন, আসছেন । কথা শেষ হাঁটুতেই তঁাহারাও ঢুকিলেন। -এই যে আমুন-আপনাদের জন্যে সাহেব অপেক্ষা করছেন। ক্লার্কওয়েল শিক্ষকদের সভায় অতি তুচ্ছ কথা বলিবার সময়ও জজ সাহেবের মত গাম্ভীর্য্য ও আড়ম্বর প্রদর্শন করিয়া থাকেন, বাজেট সভায় বাজেট