পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

byw অনুবর্তন স্কুলে চাকুরী করিতেছেন । বেলেঘাটা অঞ্চলে একটিমাত্র ঘর ভাড়া লইয়া আছেন, সকালে ও সন্ধ্যায় সামান্য একটু হোমিওপ্যাথি করিয়া আর কিছু উপার্জন করেন। চাকুরীটুকু গেলে এ বাজারে পথে বসিতে হইবে। হেড পণ্ডিত মশায় বুদ্ধ লোক, তিনি ক্লার্কওয়েল সাহেবের পুর্ব হইতে এ স্কুলে আছেন-তিনি আর নারাণবাবু। অনেক মাষ্টার আসিল, চলিয়া গেল, তিনি ঠিক আছেন। মেজাজ দেখাইতে গেলে চাকুরী করা চলে না। তবে তিনি ইহাও জানেন, লম্মফব্বম্প করা যদুবাবুর স্বভাব, শেষ পর্যন্ত কোনো দিক হইতেই কিছু দাড়াইবে না । এই সময় নারাণবাবু ঘরে ঢুকিলেন। তিনিও বৃদ্ধ, এই স্কুলেরই একটি ঘরে থাকেন-নিজে রান্না করিয়া খান। আজ পয়ত্রিশ বছর এ স্কুলে আছেন এবং এই ভাবেই আছেন। বৃদ্ধের নিকট কেহ কখনও তাহার কোনো আত্মীয়স্বজনকে আসিতে দেখে নাই। রোগ, বেঁটে চেহারার মানুষটি পাকশিটে গড়ন গায়ে আধ্যমমূলা পাঞ্জাবি, ততোধিক ময়লা ধুতি, পায়ে চটি জুতা। নারাণবাবু পকেট হইতে একটি টিনের কৌটা বাহির করিয়া একটি বিড়ি ধরাইলেন। I ক্ষেত্রবাবু হাত বাড়াইয়া বলিলেন--দিন একটা, কাঠিটা ফেলবেন নাDBBDBBDD DBDBBDSLLiD S DBDBDDBS BDBDS DDBDBBDBS BB DDBD ডাকিয়েছে কেন ? যদুবাবু চড়াগলায় মেজাজ দেখানোর সুরে বলতে আরম্ভ করিলেন-সেই কথাই তো বলছি!! শুধু শুধু ওই অস্ত্যজটা আমায় ডেকে নিয়ে গিয়ে নারাণবাবু ৰালিলেন-আস্তে, আস্তেযদুবাবু গলা আরও এক পর্দা চড়াইয়া বলিলেন-কেন, কিসের ভয় ? যদু মুখুয্যে ওসব গ্রাহি করে না। অনেক আলম দেখে এসেছি, থার্ড ক্লাস এম-এ --তার আবার প্রতাপটা কিসের হা ? কেবল লাগানো ভাঙানো সব সময় ! অত লাগানোর ধার ধারে কে ? উনি ভাবেন, সবাই ওঁকে ভয় করে চলবে।--ষে চলে, সে চলুক, যাদু মুখুয্যে সেরকম বংশের