তাঁহাদের প্রাসাদের মধ্যে স্বাধীনভাবে ঘুরিয়া বেড়াইত। বর্ত্তমানকাল পর্য্যন্ত আবিসিনিয়ার রাজগণ ঐ রীতি রক্ষা করিয়া আসিতেছেন এবং আলজিরিয়ার কোনো কোনো অশে এখনো সিংহদিগকে অন্ধ করিয়া ও পোষ মানাইয়া ভূতছাড়ানোর কাজে লাগানো হইয়া থাকে। মধ্যযুগের শেষ-অংশে মিলানে ও ইটালির অন্যান্য নগরে সিংহ এবং চিতাবাঘকে অপরাধী ব্যক্তির প্রাণসংহারের কার্য্যে ব্যবহার করা হইত।
১২
একজন ফরাসী সৈনিক, এম্ব্রোজ পেরিশঁ, আপন জীবন রক্ষার জন্য একটি ঘোড়ার কাছে ঋণী। তাহার দুই পা জর্ম্মান কামানের দ্বারা চূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। যখন রাত হইল তখন সে তার কাছে একটা বড়ো শাদা ঘোড়ার গুরুশ্বাসের শব্দ শুনিতে পাইল, সেই ঘোড়াটি ছোটো ছোটো ঘাস চিবাইয়া খাইতেছিল। জন্তুটির আরোহী ছিল না; সৈনিক তাহাকে শিস্ দিয়া ডাকিল। ঘোড়াটি আনন্দে মৃদু হ্রেষাধবনি করিয়া উঠিল। নিজের জন্য স্বল্পমাত্র চেষ্টা করাও পেরিশ’র পক্ষে অসাধ্য ছিল। ঘোড়াটা যেন তাহা বুঝিতে পারিল, কেননা সে হাঁটু গাড়িয়া তাহার পাশে আসিয়া পড়িল এবং তাহার বক্ষের উর্দ্ধে মাথা রাখিয়া স্তব্ধ হইয়া রহিল। তাহার পরে সে উঠিল এবং সৈনিকের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়াইল। অবশেষে