পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मारुना মেজ বৌমার বাবা নেই, তবে তার কাকা খিদিরপুরে বড় কষ্ট্ৰাকটর। রায়চৌধুরী কোম্পানির নাম শুনেচা? ছোট ছেলের শ্বশুর বঁাঁকুড়ার হাকিম। বড় বৌমা ম্যাট্রিক পাস। ছোট বৌমা বি-এ আদি পড়েচে-পরীক্ষা আর দেয় নি। সে মেমসাহেবদের মত ইংরিজি বলতে পারে-কয়েকবার শুনেচি আমি। বৃদ্ধ একটু থেমে আবার বলতে লাগলেনবোমা, তুমি না দেখলে এসব বিশ্বাস করবে না, ভাববে বুড়ো আচ্ছা গল্প ফেঁদেচে । --তারা এখেনে একদম আসে না ? -একবার পুজোর সময় আমার বড় নাতির অন্নপ্রাশন দিতে বড় ছেলে এসেছিল। খুব ধুমধাম হয়। সে বিশ বছর। আগের কথা। সেই নাতি এখন মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়চে। দুই মেয়ে ইস্কুলে পড়ে, একজন ম্যাট্রিক দিয়েচে । একবার তারা মোটরে বেড়াতে এসেছিল। মাত্র কয়েক ঘণ্টা ছিল। অনেকদিন দেখি নি বলে দেখতে চেয়েছিলাম-ছোট ছেলে তাই তার বউকে নিয়ে এসেছিল। ছোট বৌমা শুধু চা আর ডাবের জল খেলে-বললে গায়ের জল খেলে নাকি ম্যালেরিয়া হয়। খুব শিক্ষিতা মেয়ে কিনা। রাত্তিরে তারা থাকলে না-বললে মশারি নেই, থাকা চলবে না। আমি নিজে একটা ছেড়া মশারিতে শুই, GSb ́