পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS অন্ধকারের আফ্রিকা করে, এদিকের সাগরজলে ভয়ানক লবণ, সাগরতীয় দুৰ্গন্ধযুক্ত, এদিকে এস না, তােমাদের এতে ক্ষতি হবে।” আমার সার্থীদের দিকে তাকিয়ে বলল, “এগুলি বোধ হয় তোমার কেনা গোলাম, নিশ্চয়ই কেনা গোলাম ” এই বলেই লোকটা ফের নাচতে লাগল। তারু আমাকে বলল, “বানা, লোকটা পুলিশের চােখে ধুলো দিচ্ছে। এখানে ইউরোপীয়ানদের বিরুদ্ধে কথা বলে নিগ্রোদের ক্ষেপিয়ে তোলাই এর কাজ, এর কাছ থেকে দূরে থাকাই তোমার উচিত।” কথা না বাড়িয়ে সাগরতীরের দিকে আগিয়ে গিয়ে জলের কাছে বসে সুর্যের শেষ কিরণটুকু সাগরজলে কেমন করে প্রতিবিম্বিত হয় তাই দেখে ফের ধরমশালস্থায় ফিরে এলাম । রাত্রে কয়েক জন বিশিষ্ট লোক আমার সংগে সাক্ষাৎ করতে এলেন। তঁরা এসেছিলেন আমাকে উপদেশ দিতে । নীলপদ্মের জন্মভূমি কুল মানুজার অর্থাৎ মান্দার পর্বত দেখতে আমাকে অনুরোধ করলেন। কুলমানজার পর্যন্ত একটা রেলপথ এখান থেকে চলে গিয়েছে। চিন্তা করে দেখলাম স্থানটা দেখলে মন্দ হবে না, হয়ত ভালই হতে পারে, তাই স্থানীস্থ লোকের উপদেশমত ? তারুকে নিয়ে কুলমানজারের দিকে চতুর্থ দিন রওয়ানা হই। এদিকে নিগ্রোদের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর এক প্রকার কম্পার্টমেণ্ট থাকে যাতে বসবায় জন্য শুধু চাটাই বিছিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর কম্পার্টমেণ্ট থাকে। সেই কম্পার্টমেন্টে ইউরোপীয়ানরা ভুলেও আসে না। আমি তারুকে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর কম্পার্টমেন্টেই উঠলাম। তার জন্যও দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিটাই –কিনেছিলাম। Y গাড়ীতে উঠার পর তারুকে নিয়ে মহা থিপদে পড়লাম। ভারতীয় চেকার তারুকে কোনমতেই দ্বিতীয় শ্রেণীতে বসতৃে দেবে