পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানজিবার লোকে বলে দুঃখের পর সুখ হয়। কুল-মানজারে জামানদের কাছ থেকে অৰ্দ্ধচন্দ্র থুেয়ে যখন টাংগায় এলাম তখন হঠাৎ মনে হল জানজিবারের কথা। ভাবছিলাম সেখানে গেলে কিছুটা শান্তি পাব। জানুঞ্জিবার যাবার জন্য প্রস্তুত হতে লাগলাম। তারুকে পায়ে হাঁটা পথে দ্বার-এ-সালাম পাঠিয়ে দিয়ে টাংগা হতে জানূজিবারের দিকে রওয়ান হলাম। তখন জানিজিবারে আরব এবং ভারতবাসীতে বেশ এক চোট লড়াই হয়ে গেছে। আরবিও মুসলমান আর যারা আরবের সংগে বিবাদ করেছিল তারাও মুসলমান। এক্ষেত্রে ইসলামের ভ্রাতৃভাবের কোনরূপ অস্তিত্ব আছে বলে বুঝলাম না। স্বার্থ বড়ই बांदाश्। টাংগা হতে জাহাজে বসার কতক্ষণ পরই এক দল বড় মাছের সাক্ষাৎ পেলাম। মাছগুলি কুড়ি হাতের কম লম্বা হবে না। সংখ্যায় কয়েক লক্ষ যদি বলি তবে কমই বলা হবে। যতক্ষণ দৃষ্টি যায় ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু দেখি বৃহৎ মাছ হঠাৎ জলের তল থেকে ভেসে উঠে জাহাজের সংগে চলছে। এই মাছগুলি নাকি লোহিত সাগর থেকে এসেছে এবং তারা যাবে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে, এ কথাটাই অনেকে বলেছিল। বেশ কতক্ষণ খালি চোখে মাছের খেলা দেখে সুখীই হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ একজন লোক বলে উঠল ঐ বঁ-দিকে পেম্বা স্বীপ দেখা যাচ্ছে। দ্বীপটিা বেশ সুন্দর বলেই মনে হল, কিন্তু এখানে ভাতৃত্ববাসী আরবদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে শুনে বড়ই দুঃখ হল। ጁ‹