পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 . অন্ধকারের আফ্রিকা বলি এবং প্রবাদ রয়েছে যেখানে বাঘা যায়। এই দুষ্ট জীবও তার পেছনে চলে। আফ্রিকাতে বাঘ নাই, চিতাবাঘ আছে, বোধ হয় চিতা বাঘের পেছনেই এই জীবটি চলছিল। আমি জীবটাকে বিরক্ত না করে ঘরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে শোবান্ধ ব্যবস্থা করলাম, কিন্তু মশার এতই উপদ্রব ছিল যে এরূপ স্থানে নিদ্রা যাওয়া অসম্ভব ছিল। আমার ংগে মশারি ছিল। কিন্তু মশারি খাটাবার কোন বন্দোবস্তু না থাকায় চুপচাপ করে বসে না থেকে ফের ময়দানে বের হয়ে গেলাম। টিপবাতি আমার হাতেই ছিল। কিন্তু সে বাতি জালাই নি। কারণ আমার চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ টিপবাতির আলো প্রজলিত হয়ে উঠছিল আর নিবছিল । লক্ষ লক্ষ জোনাকী পোকা দিগন্তব্যাপী প্রজ্বলিত DBD S S DDB DBBD DBDBBDBBD BB LBDDD BDDSS S BD আলোতে লক্ষ লক্ষ হিংস্র জীব্য পালে পালে একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল । কেউ পালাচ্ছিল আক কেউ পলাতক জীবের পেছন নিচ্ছিল। সেই দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর ছিল। যখন কোন বনগরু, অথবা হরিণের পালের উপর টুংস্র জীব লাফিয়ে পড়ছিল তখনই তারা প্রাণভয়ে পলায়ুন করছিল। সেই পলায়মান জীবের চলা-ফেরাটা যেন সাগরের জলের তরাংগের মত মনে হছিল। বলেছি ময়দানের মাঝে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। ময়দান সমতল ভূমি নয়, উচুনীচু। • উচুনীচুতে রাতে যখন বন্যজীব পালে পালে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে তখন সাগর-জলের তরংগোৱ মতই দেখায়। সে দৃশ্য অনেকক্ষণ দেখলাম, হঠাৎ মনে হল এরূপ - স্থানে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকা ভাল নয়, বিপদ আসতে কতক্ষণ ? মশায় ভয়া ঘরটাতেই ফিরে এলাম। দুঃখের সহিত বলছি, যে বন্য জীবের ভয়ে ঘরে চলে এসেছিলাম। সেই বন্যজীবের আশেপাশে, আমাকে