পাতা:অন্ধকারের জানালা - বিদ্যুৎ মৈত্র.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মহাশুন্য

নাই নাই, আর কিছু নাই,
আছে শুধু মহাশূন্যটাই—
আাকাশ বাতাস ছেয়ে
নিষ্পলক সাদা চোখে চেয়ে।
দৃষ্টি তার মনের সুদূরে
সন্ধানী নেশায় মরে ঘুরে,
সেখানেও কাল কাল ধোঁয়া
নিশীথের অন্ধকার ছোঁয়া।
দুস্তর সমুদ্র সবটাই
সেখানে বন্দর আর নাই।
তবু সেই দুস্তর সমুদ্র ব্যপে
সুদূর হাওয়ায় ওঠে কেঁপে
প্রাণাতীত নিমেষের স্পর্শ টুকু শুধু,
আর বুঝি বাষ্প হয়ে ঝরে কিছু মধু।
দূর অতীতের বুঝি মধুচক্রটারে
প্রদক্ষিণ করে বারে বারে,
শুন্যতার মাঝে মাঝে করে যে রণন
কোন দূর ভাবনার ভ্রমর গুঞ্জন।
নিমেষেই মধু সব শেষ,—
অন্তহীন শুধু অবশেষ।
শুধু জাগে মহাশুন্যটাই
ভ্রমরের চিহ্ন কিছু নাই॥

— ১৪ —