পাতা:অন্ধকারের জানালা - বিদ্যুৎ মৈত্র.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসুখ দক্ষিণ বাতাসে শ্বাস টেনে নিতে পারিনাকে আর, কী ভীষণ কষ্ট হয়। অথচ হাপানি নয়, বুকের বিকার কিছু নেই, ওরা বলে। ফুস ফুস, হৃৎপিণ্ড সবই ঠিক ঠাক চলছে, চলবে কিছুদিন—বেশ কিছুদিন, অথচ অবাক কাণ্ড কী যে। গভীর অনিচ্ছা কেন দক্ষিণের জানালা খোলার ; বিষাক্ত জীবাণু আছে, বিশ্বাস করে না কেউ—যথার্থই ক্লেশ হয় কিছু ভ্রাণ নিলে সে হাওয়ার । নদী, ঢেউ, তীর--গাছের ওপরে বসে মাছরাঙ। পাখি বেতবনে অন্ধকারে আলো স্থেলে অযুত জোনাকি ঘোরে ফেরে। তার ফোটে, চাদ ওঠে, থাকে নাকে আর অন্ধকার--সমুজ্জল সব নাকি, অথচ ব্যাপার আশ্চর্য বড়। দৃশ্যমান কিছু নয়—চোখের অমুখ নাকি, হয়তো বা ছানিই পড়েছে। দেখিয়েছি বিশেষজ্ঞ ডাকি, কিছু নেই ওর বলে-কোন রোগ, ছানিও কাটার আশু প্রয়োজন নেই। অথচ আশ্চর্য একী ! দু-চোখে হাতড়ে কিছু পাইনে দেখার । আরো আছে, আরো এক আশ্চর্য অসুখ, প্রক্তিকার সাধ্যবহিভূত বুঝি । কান ঘটে। কোনে কিছু শব্দ শোনার W ক্ষমতা রাখে না আর পাখিরা ডাকুক কিংবা বাজুক সেতার