পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কর্ম্মচারীর কাছ থেকে সে খানকয় সুপারিস-পত্র জোগাড় ক'রেছিল, তারই সাহায্যে গোয়েন্দা বিভাগের ভিতর থেকে পাশ্চাত্য-পুলিসদের কাজ দেখবার সুযোগ তার হয়েছিল।

 য়ুরোপের দেশে দেশে গোয়েন্দা-পুলিসদের কার্য্যপদ্ধতি আছে নানারকম। তারই মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ইংরেজ, ফরাসী, জার্ম্মান ও অস্ট্রিয়ান পুলিসের পদ্ধতি। হেমন্ত এই চার-রকম পদ্ধতি নিয়েই বিশেষ ভাবে আলোচনা করবার অবসর পেয়েছে ।

 সেকালকার পুলিসরা কাজ করত অনেকটা অন্ধের মত। বিজ্ঞান ছিল তখন শিশু এবং বিজ্ঞান যেটুকু জানত, পুলিস সেটুকু সাহায্যও গ্রহণ করা দরকার মনে করত না। বার্টিলনের মাপ নেবার বা আঙুলের ছাপ নেবার পদ্ধতি তখন আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যামেরা, মাইক্রোসস্কোপ ও রসায়ন শাস্ত্রের কাছ থেকেও পুলিসের কিছু লভ্য ছিল না। রক্তের মত কোন দাগ দেখলেই পুলিস তাকে গ্রহণ করত রক্ত ব’লেই; তা রক্ত কিনা এবং রক্ত হ'লেও তা মানুষের বা পশুর রক্ত কিনা কিংবা তা বিশেষ কোন মানুষের রক্ত কিনা, এ-সব জানবার কোন উপায়ই ছিল না। কিন্তু একালের উন্নত বিজ্ঞান এসে পুলিসের অন্ধতা অনেকটা দূর ক'রে দিয়েছে।

 এই বিজ্ঞানের দিক দিয়ে হেমন্ত ছিল যথেষ্ট অগ্রসর! সে বিজ্ঞানে সর্ব্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে এম্-এ পাস করেছিল। এবং এখনো নিয়মিত ভাবেই বিজ্ঞা্‌‌ন-চর্চ্চা করে। গোয়েন্দা-