পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিতে বিজ্ঞানকে সে এমন কৌশলে কাজে লাগাতে পারে য়ে, দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। আজ আমি যে-কাহিনীটি লিখতে বসেছি, পাঠকরা তার মধ্যেও হেমন্তের বৈজ্ঞানিক তীকনবুদ্ধির খানিকটা পরিচয় লাভ করবেন।

 বাংলাদেশের অপরাধাদের সম্বন্ধে নানা তথ্য সংগ্রহের জন্যে সে এখানকার পুলিসের বহু হোম্‌‌রা-চোম্‌‌রার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পক স্থাপন করেছে। যদিও কোন দেশেরই পুলিস বাইরের সখের গোয়েন্দাদের বিশেষ খুসির চোখে দেবে না, বরং তাদের মনে করে অকেজো উড়ো আপদের মত। কিন্তু কলকাতা পুলিসের কোন কোন কর্ম্মচারীর ব্যবহার দেখলে বেশ বোঝা যায়, হেমন্তের মতামতের উপরে তাদের শ্রদ্ধার অভাব নেই ।

 এর কয়েকটি কারণও আছে। প্রথমত, হেমন্ত না ভেবেচিন্তে যুক্তিহীন কোন কথাই বলে না। দ্বিতীয়ত, তার বক্তব্য সে অতি বিনীত ভাবে প্রকাশ করে। পুলিসের লোকের সঙ্গে তার কথাবার্ত্ত শুনলে মনে হয়, গুরুর সামনে ছাত্র যেন নিজের মতামত নিবেদন করছে। কাজেই তার কাছে সাহায্য চাইতে এলেও পুলিসের অহমিকা বা হামবড়াই ভাব আহত হয় না ।

 হেমন্ত খালি পুলিসের সঙ্গেই মেলামেশা করে না। এদেশের চোর, গাঁটকাটা, গুণ্ডা, খুনী ও দাগী পুরাতন পাপাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করবার জন্যে তার আগ্রহ এত বেশী যে, মাঝে মাঝে আমার ভয় হয়, কোনদিন সে হয়তো সাংঘাতিক বিপদে